Kolkata Metro

মেট্রোর বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কর্মীদের

সদস্যদের অভিযোগ, বিভিন্ন লাইন মিলিয়ে শতাধিক মোটরম্যানের ঘাটতি রয়েছে। ট্র্যাফিক বিভাগেও কর্মী নেই। একের পর এক স্টেশনে বুকিং কাউন্টারের সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে কমে আসছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০২৪ ০৭:৪৫
Share:

—প্রতীকী ছবি।

কলকাতা মেট্রোর বেসরকারিকরণের ভাবনা প্রকাশ্যে আসতেই কর্মী মহলে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। সোমবার মেট্রোর দমদম স্টেশনের বাইরে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল কলকাতা মেট্রোর ‘মেন্স ইউনিয়ন’। সদস্যদের অভিযোগ, বিভিন্ন লাইন মিলিয়ে শতাধিক মোটরম্যানের ঘাটতি রয়েছে। ট্র্যাফিক বিভাগেও কর্মী নেই। একের পর এক স্টেশনে বুকিং কাউন্টারের সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে কমে আসছে। এই পরিস্থিতিতে বেসরকারিকরণ হলে অবস্থা আরও খারাপ হবে বলে আশঙ্কা কর্মীদের।

Advertisement

অভিযোগ, মেট্রোর পক্ষ থেকে টোকেন এবং স্মার্ট কার্ড ভেন্ডিং মেশিন বসানো হলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই যাত্রীদের সহযোগিতা করার জন্য সেখানে কর্মী মোতায়েন রাখতে হয়। স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র হলেও কাউন্টারের চেয়ে ওই যন্ত্র থেকে টোকেন এবং স্মার্ট কার্ড বেরোতে কিছুটা বেশি সময় লাগে। তাতে পরোক্ষে স্টেশনে টিকিট কাটার প্রক্রিয়া মন্থর হয়ে যায় বলে অভিযোগ।

এ ছাড়াও, টাকার নোটে কোনও সমস্যা আঁচ করলে যন্ত্র সঙ্গে সঙ্গে তা বার করে দেয়। অনেক ক্ষেত্রে তেমন কোনও ত্রুটি না থাকলেও সমস্যা হয়। যন্ত্রে টাকা ফেরানোর ব্যবস্থা না থাকায় বহু ক্ষেত্রে মেট্রোকর্মীদের স্মার্ট কার্ড রিচার্জ করার সময়ে খুচরো জোগান দিয়ে যাত্রীদের সাহায্য করতে হয়। ফলে, খাতায়কলমে যন্ত্র ব্যবহার করে কাউন্টারের চাপ কমানোর কথা বলা হলেও আদতে কর্মীদের উপরে কাজের চাপ বেড়েছে। এ দিন কলকাতা মেট্রোর হাতে রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের মাধ্যমে মোটরম্যান নিয়োগের ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিও তোলেন সংগঠনের নেতৃত্ব। ‘মেন্স ইউনিয়ন’-এর নেতা শিশির মজুমদার বলেন, ‘‘বেসরকারিকরণ ঠেকাতে সর্বাত্মক আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement