—প্রতীকী চিত্র।
আনন্দপুর থানা এলাকায় ধর্ষণের ঘটনায় নির্যাতিতার মাথার চুলও কেটে নিয়েছিল অভিযুক্তেরা। তদন্তে নেমে এমনটাই জানতে পারা গিয়েছে। লালবাজার জানিয়েছে, ওই তরুণীকে ধর্ষণের পরে কোনও কিছু ঘিরে বচসা হয়। তাতেই এই ঘটনায় দুই অভিযুক্ত, শেখ সমীর ওরফে দাঁতন এবং মনা মারধর করে তরুণীকে। এর পরেই তরুণী পুলিশের কাছে যাওয়ার হুমকি দেন। তখনই তরুণীর মাথার সামনের চুল ওই দু’জন কেটে নেয়।
এক পুলিশকর্তা জানান, দাঁতনের বিরুদ্ধে ওই এলাকায় একাধিক অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। তার বাড়ি তিলজলায়। ঘটনার পরেই দাঁতন ও রিজওয়ানকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে অন্য অভিযুক্ত মনাকে গ্রেফতার করা হয়। মনার আনন্দপুরের বাড়িতেই ওই ধর্ষণ এবং চুল কাটার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে লালবাজার। তিন জনকেই আদালত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
বুধবার রাতে অভিযোগকারী তরুণীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে আনন্দপুর থানার একটি নির্মীয়মাণ মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন বাড়িতে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। প্রথমে তিলজলা থানায় অভিযোগ জানান ওই তরুণী। কিন্তু ঘটনাস্থল আনন্দপুর থানা এলাকা হওয়ায় জ়িরো এফআইআর করে তা সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হয় তিলজলা থানার তরফে।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত রিজওয়ান ওই তরুণীর পূর্ব পরিচিত। বাকি দুই অভিযুক্ত রিজওয়ানের বন্ধু। সেই সূত্রে ওই রাতে দেখা করার পরে মনার আনন্দপুরের বাড়িতে যায় তরুণী-সহ চার জন। সেখানে ওই ঘটনা ঘটে। ওই তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৭০ নম্বর ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। পুলিশ ওই এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে।