প্রতীকী চিত্র।
শহর থেকে ভারতীয় জাল টাকা-সহ সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে গ্রেফতারের পরে সামনে এল জম্মু-কাশ্মীর যোগসূত্র। বৃহস্পতিবার রাতে নিউ টাউনের পেঁচার মোড় থেকে কামাল রশিদ খান (২৭) নামে ওই যুবককে ধরে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ এবং ইকো পার্ক থানার পুলিশ। ধৃতের বাড়ি কাশ্মীরের বারামুলা জেলায়। তার কাছ থেকে প্রায় ৯ লক্ষ টাকার জাল নোট উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ধৃতের সঙ্গে জঙ্গি যোগের আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। এ দিন ধৃতকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত ছ’মাসেরও বেশি সময় ধরে নজর রাখা হচ্ছিল রশিদের উপরে। আগেও সে কয়েক বার কলকাতায় এসেছে। সীমান্তবর্তী জেলা মালদহ, মুর্শিদাবাদেও রশিদের যাতায়াতের প্রমাণ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এক পুলিশকর্তা জানান, বারামুলার গরিব পরিবারের ছেলে রশিদ বিলাসবহুল জীবন কাটাত। মুম্বই বা কলকাতার বড় হোটেলে থাকত সে। যদিও কোথা থেকে ওই সব টাকা সে পেত, তার সদুত্তর দিতে পারেনি।
তদন্তকারীরা জানান, আন্তর্জাতিক সীমানা রয়েছে, এমন জায়গায় ঘুরে বেড়াত রশিদ। গত কয়েক মাসে গুজরাত, রাজস্থান, মুম্বই-সহ একাধিক জায়গায় সে গিয়েছে। কলকাতায় যে মাঝেমধ্যেই আসত, সেই প্রমাণও মিলেছে। তার কাছ থেকে এ রাজ্যের বেশ কয়েক জন বাসিন্দার নাম মিলেছে, যাঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল রশিদের। খোঁজ চলছে তাঁদেরও।
পুলিশ সূত্রের খবর, রশিদ বৃহস্পতিবার মুম্বই থেকে কলকাতায় আসে। সে নিউ টাউনের একটি হোটেলে ছিল। ওই রাতেই রশিদ একটি ব্যাগ নিয়ে ইকো পার্ক থানা এলাকার ৫৮৭ নম্বর রাস্তা ধরে যাওয়ার সময়ে তাকে ধরে পুলিশ। ব্যাগ থেকে ৮ লক্ষ ৯০ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার হয়েছে। যার মধ্যে ১১৮৬টি দু’হাজার টাকার নোট ছিল। রশিদের মোবাইলটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। যা ঘেঁটে গোয়েন্দারা নিশ্চিত, মালদহের জাল নোট চক্রের সঙ্গে তার যোগ রয়েছে। তাদের সঙ্গে কাশ্মীর ও পাকিস্তানের যোগ থাকার আশঙ্কাও করছেন তদন্তকারীরা।
এর আগে রাজ্য থেকে পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে তানিয়া পরভিন নামে এক ছাত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ওই তদন্তে তার জঙ্গি যোগের প্রমাণও মিলেছিল। গত বছর মুর্শিদাবাদ থেকে সাত জনকে ধরা হয়, কাশ্মীরের জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যাদের যুক্ত থাকার প্রমাণ পেয়েছিল এনআইএ। এ দিন রশিদকে গ্রেফতার করার পরেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এনআইএ-র
একটি দল।