শান্তনু বলেন, ‘‘আই হ্যাড এনাফ (আমার অনেক ছিল)। রাস্তা থেকে উঠে আসিনি। আমার মোবাইলের ব্যবসা ছিল।’’ —ফাইল চিত্র।
তিনি এত বোকা নন যে ৩০০ জন চাকরিপ্রার্থীর তালিকা বাড়িতেই রেখে দেবেন এবং তদন্তকারীরা তা খুঁজে বার করে আনবেন। এমনই জানালেন নিয়োগ দুর্নীতিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র হাতে ধৃত বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার আইনজীবীর মাধ্যমে বিচার ভবনে শান্তনু তাঁর সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়েও বেশ কিছু দাবি করেছেন।
আইনজীবী প্রতীম ভট্টাচার্যের মাধ্যমে আদালতে শান্তনু বলেন, ‘‘আমি কি এতই বোকা যে সব সাজিয়ে রাখব? ৩০০ জনের তালিকা বাড়িতেই রেখে দেব?’’ তিনি এ-ও দাবি করেন গ্রেফতারের পর তিনি যে বিবৃতি দিয়েছেন এবং যে দাবি করেছেন, সেগুলির সত্যতা খতিয়ে দেখা হয়নি। পাশাপাশি, নিজের সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে শান্তনু বলেন, ‘‘আই হ্যাড এনাফ (আমার অনেক ছিল)। রাস্তা থেকে উঠে আসিনি। আমার মোবাইলের ব্যবসা ছিল।’’ নিজের শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়েও তথ্য তুলে ধরেন তিনি।
অন্য দিকে, আদালতে পাল্টা যুক্তি দেন ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। তিনি প্রশ্ন করেন কী ভাবে সরকারি চাকরি করেও একাধিক সংস্থার মালিক হয়েছেন শান্তনু।
অভিযোগ, শান্তনু এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের ওই বৈভব সবই দুর্নীতির টাকায়। আইনজীবী এডুলজি বলেন, ‘‘উনি সরকারি চাকরি করতেন। বছরে আয় ছিল মোটামুটি ৬ লক্ষ টাকা। তাঁর কী ভাবে ২০ কোটি টাকার সম্পত্তি হয়?’’ কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘এটাই ভবিতব্য ছিল।’’ ইডির তরফে বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনুর বেনামি সম্পত্তি এবং দামি গাড়ির তথ্য তুলে ধরা হয়। বিচারকের উদ্দেশে ইডির আইনজীবী বলেন, ‘‘হুজুর, কেস ডায়েরি দেখে নিন। বুঝতে পারবেন কী হতে চলেছে। এক বার কেস ডায়েরিতে প্রভাবশালী নামগুলো দেখুন। প্রকাশ্য আদালতে নামগুলো বলতে পারছি না।’’
দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শেষে শান্তনুকে আগামী ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।