অরিত্র মজুমদার। —সংগৃহীত।
মধ্যরাত পর্যন্ত যাদবপুর থানায় জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল মঙ্গলবার। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিল বলে বুধবার দুপুরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণারত অরিত্র মজুমদার ওরফে আলু পৌঁছলেন ক্যাম্পাসে। সেখানে ঢোকার আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন অরিত্র। তিনি বলেন, ‘‘আমি চাই দোষীরা চিহ্নিত হোক। এখন যে হেতু তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে, তাই এর বেশি আমি কিছু বলব না।’’ সেই সঙ্গে মুখ খোলেন রেজিস্টারে তাঁর সই নিয়েও।
৯ অগস্ট মধ্যরাতে হস্টেলের তিনতলার বারন্দা থেকে পড়ে গিয়েছিলেন নদিয়ার বগুলা থেকে পড়তে আসা ছাত্রটি। ১০ অগস্ট সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। অরিত্র নিজেই মঙ্গলবার আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেছিলেন, ১০ তারিখ সকালে তিনি ক্যাম্পাসে গিয়েছিলেন। তার পর হাওড়া চলে যান ট্রেন ধরার জন্য। কিন্তু এর মধ্যেই একটি রেজিস্টারের পাতা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরতে শুরু করেছে। অনেকে দাবি করছেন, ১১ তারিখও অরিত্রের স্বাক্ষর ছিল রেজিস্টারে। বুধবার সাংবাদিকরা এই গবেষককে প্রশ্ন করেন, ১১ তারিখে রেজিস্টারে সই এল কী ভাবে? প্রথমে তিনি সেই প্রশ্নের জবাব দেননি। পরে বলেন, একসঙ্গে তিন দিনের সই করতে গিয়ে ভুল করে ১১ তারিখের ঘরে সই করে ফেলেছিলেন। ঘটনার পর থেকেই আলু ‘বেপাত্তা’ ছিলেন। যদিও মঙ্গলবার দীর্ঘ এক ফেসবুক পোস্টে দাবি করেন, তিনি কাশ্মীরে গিয়েছিলেন ট্রেকিংয়ে। সোমবার রাতে ফিরেছেন।
পড়ুয়ামৃত্যুর পর যাদবপুর ক্যাম্পাসে বার বার আলুর দাপটের কথা শোনা গিয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র সংগঠন তো বটেই, হস্টেলেও আলুর প্রভাব ছিল বলে দাবি অনেকের। কিন্তু এই গোটা পর্বে তাঁর না থাকা কৌতূহল, সন্দেহকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। অরিত্রের দাবি, তিনি সোমবার রাতে শহরে ফিরেছেন। তার পর মঙ্গলবার তিনি ফেসবুক পোস্ট করেন। তাতে টিকিটের ছবিও দিয়েছেন তিনি। তার পর তাঁকে থানায় ডেকে দীর্ঘ জেরা করে পুলিশ। বলা হয়েছে, প্রয়োজনে ফের তাঁকে ডাকা হবে। সেই অরিত্র চাইছেন, আসল দোষীরা চিহ্নিত হোক, শাস্তি পাক।