বিচারপতি কৌশিক চন্দ। ফাইল চিত্র।
নন্দীগ্রাম ভোট-মামলার পর এ বার বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চ থেকে মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ‘উস্কানিমূলক মন্তব্য’ সংক্রান্ত মামলা সরানোর আর্জি জানানো হল। মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টে আইনজীবী মৃত্যুঞ্জয় পাল আবেদন জানান, মামলাটি যেন অন্য বেঞ্চে স্থানান্তরিত করা হয়।
মঙ্গলবার বিচারপতি চন্দের বেঞ্চে মিঠুন-মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আবেদনকারী আইনজীবী বিচারপতি চন্দের কাছে অনুরোধ জানান, তিনি যেন এই মামলা থেকে অব্যাহতি নেন। সেই আবেদনের জেরে শুনানি স্থগিত রেখেছেন বিচারপতি চন্দ। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী শুক্রবার।
মিঠুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিধানসভা ভোটে বিজেপি-র প্রচারে ‘উস্কানিমূলক’ মন্তব্য করেছেন তিনি। এই অভিযোগে গত ৬ মে অভিনেতার বিরুদ্ধে মানিকতলা থানায় এফআইআর দায়ের করে তৃণমূল প্রভাবিত সংগঠন ‘সিটিজেনস ফোরাম’। মামলার কাঁটা সরাতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মিঠুন। হাই কোর্ট তাঁকে তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছিল।
সেই নির্দেশ মেনে গত বুধবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে মিঠুন পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে অংশ নিয়েছিলেন। মানিকতলা থানার তদন্তকারী আধিকারীকেরা তাঁকে প্রায় ৪৫ মিনিট জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। মঙ্গলবার বিচরপতি চন্দের বেঞ্চে ছিল সেই মামলার শুনানি। কিন্তু বেঞ্চ বদলের দাবিতে বিচারপতি চন্দের বেঞ্চেই আইনজীবী মৃত্যুঞ্জয়ের আবেদনের জেরে শুনানি স্থগিত হয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই ‘নিরপেক্ষতার’ প্রশ্ন তুলে নন্দীগ্রামে ভোটে অনিয়মের অভিযোগ সংক্রান্ত মামলাটি বিচারপতি চন্দের বেঞ্চ থেকে অন্য বেঞ্চে স্থানান্তরের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী সঞ্জয় বসু। তৃণমূল সূত্রের খবর, বিচারপতি চন্দ এক সময় তিনি হাই কোর্টে কেন্দ্রে তরফে অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল ছিলেন। সিবিআই এবং কেন্দ্রের হয়ে একাধিক মামলায় আইনজীবী হিসেবে লড়েছেন তিনি। তাই তাঁর নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।