গার্ডেনরিচের ঘটনার পর উদ্ধারকাজ। —ফাইল চিত্র।
গার্ডেনরিচকাণ্ডে মৃত্যু হল আরও এক জনের। মৃতের নাম মারিয়াম বিবি। এ নিয়ে বহুতল বিপর্যয়ে এ পর্যন্ত ১২ জনের প্রাণহানি হয়েছে। শনিবার কলকাতার এসএসকেএমে হাসপাতালে ৮৫ বছরের এক বৃদ্ধা মারা গিয়েছেন। বহুতল বিপর্যয়ের পর ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে ভর্তি করানো হয়েছিল একটি বেসরকারি হাসপাতালে। পরে সেখান থেকে স্থানান্তর করানো হয় এসএসকেএমে। আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন মারিয়াম। শনিবার তাঁর মৃত্যুর খবর জানা গিয়েছে হাসপাতাল সূত্রে।
রবিবার কলকাতার গার্ডেনরিচ এলাকায় একটি বহুতল ভেঙে পড়ে পাশের ঝুপড়ির উপর। মঙ্গলবার পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যুর খবর মেলে। আহত হন বেশ কয়েক জন। প্রোমোটার-সহ দু’জন গ্রেফতারও হয়েছেন। অঘটনের পর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে পাঁচ লক্ষ করে টাকা দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তবে তার প্রেক্ষিতে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ করে বিজেপি।
গার্ডেনরিচের ঘটনায় আর্থিক সাহায্য ঘোষণা নিয়ে কলকাতার মেয়র তথা কলকাতা বন্দরের বিধায়ক ফিরহাদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধি ভাঙার অভিযোগ তুলে গত সোমবার নির্বাচন কমিশনের কলকাতার অফিসে একটি চিঠি পাঠায় বিজেপি। বুধবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অরিন্দম নিয়োগী জানান, এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিবের কাছে তাঁরা রিপোর্ট চেয়েছেন।
কেন এমন বহুতল বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটল, তা জানতে শনিবারই সাত সদস্যের কমিটি গড়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ওই ঘটনায় প্রোমোটার তো বটেই, স্থানীয় কাউন্সিলর শামস ইকবালের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে দলীয় কাউন্সিলরের পাশে দাঁড়িয়ে পুর আধিকারিকদের দায়িত্ববোধ নিয়েও পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন মেয়র। ঘটনার জেরে তিন ইঞ্জিনিয়ারকে শোকজ়-সহ কলকাতা পুরসভার প্রশাসনে রদবদল ঘটান তিনি। অন্য দিকে, নিজেদের মতো করে বহুতল ভেঙে পড়ার কারণ জানতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ করেছে কলকাতা পুলিশ।