হাসপাতালে মশারির ভিতরে রাখা হয়েছে ডেঙ্গি রোগীদের। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ডেঙ্গিতে আরও এক জনের মৃত্যু হল কলকাতার হাসপাতালে। গত সোমবার এনআরএস হাসপাতালে ১১ বছরের এক বালকের মৃত্যু হয়েছে। তিন দিন আগে ডেঙ্গি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল তাকে। বুধবার সেই মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এসেছে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, মৃত বালকের নাম জয় বিশ্বাস। নদিয়ার হাঁসখালি গ্রামের বাসিন্দা সে। গত ২১ জুলাই জ্বর-সহ একাধিক উপসর্গ নিয়ে তাকে এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সোমবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে শহরের হাসপাতালগুলিতে চলতি মরসুমে ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হল সাত।
এর আগে মঙ্গলবারেও কলকাতার হাসপাতালে ডেঙ্গিতে তিন জনের মৃত্যুর খবর জানা গিয়েছিল। নদিয়ার রানাঘাটের ৪৫ বছর বয়সি এক মহিলার মৃত্যু হয় ২১ জুলাই। এ ছাড়া, ওই দিনই লেকটাউনের বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় ৩০ বছর বয়সি বাঙুর অ্যাভিনিউয়ের তরুণীর। তাহেরপুরের ৬৬ বছরের বৃদ্ধ কলকাতার ফুলবাগানের হাসপাতালে মারা গিয়েছেন। প্রতি ক্ষেত্রেই মৃত্যুর শংসাপত্রে ডেঙ্গির উল্লেখ ছিল। গত শনিবার পার্ক সার্কাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে ১০ বছরের নাবালিকার।
বর্ষার মরসুমে প্রতি বছরই কলকাতায় ডেঙ্গি ঘিরে উদ্বেগ ছড়ায়। এই সময় রাজ্যে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ে। চলতি বছরে ধীরে ধীরে ডেঙ্গি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে বৈঠক ডেকেছে নবান্ন। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী বৃহস্পতিবারের ওই বৈঠকে স্বাস্থ্যভবনের বিভিন্ন কর্তা এবং জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন। ডেঙ্গি ঠেকাতে কী কী করণীয়, কী ভাবে জেলায় জেলায় সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হবে, তা-ই বৈঠকের আলোচ্য বিষয় হতে চলেছে।
এ ছাড়া, শহরের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টায় কলকাতা পুরসভার বৈঠক রয়েছে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম ছাড়াও সেই বৈঠকে স্বাস্থ্যকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।