Kache Koi Moner Kotha

ফুলশয্যায় স্ত্রীর বদলে মা? সিরিয়ালের ঝলকে বিরক্ত দর্শক, কী বললেন মানালির পর্দার শাশুড়ি?

এক মাস হল শুরু হয়েছে মানালি দে-র নতুন সিরিয়াল ‘কার কাছে কই মনের কথা’। সিরিয়ালের নতুন গল্প ঘিরে সমালোচনা শুরু দর্শকমহলে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৩ ১৪:১৬
Share:

‘কার কাছে কই মনের কথা’ সিরিয়ালের এই দৃশ্য নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ছবি: সংগৃহীত।

পরাগ এবং শিমূলের ফুলশয্যার রাত। নতুন সম্পর্ক। শ্বশুরবাড়িতে প্রথম পা রাখার পর থেকেই একের পর এক ঘটনা ঘটে চলেছে। শাশুড়ির সঙ্গে প্রতি পদক্ষেপে কোনও না কোনও সমস্যা তৈরি হচ্ছে। বড় ছেলে পরাগকে হাতছাড়া করতে নারাজ মা। যার ফলে নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি ‘কার কাছে কই মনের কথা’ সিরিয়ালে শিমূলের বিয়ের দৃশ্য দেখছেন দর্শক। দেখা গিয়েছে শিমূল এবং পরাগের প্রথম রাতে মা কড়া নেড়েছে ছেলের ঘরে। আচমকাই অসুস্থ বোধ করা শুরু করেন তিনি। ফলে ছেলেই তাঁর ভরসা। সিরিয়ালে দেখা যায় সেই রাতে ছেলের সঙ্গেই ঘুমোচ্ছে মা। আর নতুন বৌ ঘরের সোফায় শুয়ে রয়েছে। এই দৃশ্য সম্প্রচারিত হওয়ার পর থেকেই সমালোচনার ঝড় সমাজমাধ্যমের পাতায়। বিভিন্ন জন বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করছেন। ২০২৩ সালে দাঁড়িয়েও সিরিয়ালের গল্পের এমন প্রেক্ষাপট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে দর্শকের একাংশ।

Advertisement

এই সিরিয়ালে শাশুড়ির চরিত্রে অভিনয় করছেন ঋতা দত্ত চক্রবর্তী। শিমূলের চরিত্রে দর্শক দেখছেন মানালি দে এবং পরাগের চরিত্রে দেখা যাচ্ছে দ্রোণ মুখোপাধ্যায়কে। ফুলসজ্জার খাটে ছেলের সঙ্গে মা এবং সোফায় বৌকে দেখে কেউ লিখেছেন, “এই নোংরামি বন্ধ হওয়া দরকার।” এ প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনালইনের তরফে যোগাযোগ করা হয় মানালির সঙ্গে। কিন্তু তাঁর ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে এ প্রসঙ্গে উত্তর দিয়েছেন সিরিয়ালের শাশুড়ি ওরফে ঋতা। বহু বছর ধরে এই ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইনকে ঋতা স্পষ্ট জবাব, “প্রথমত সমাজমাধ্যমের পাতায় কী লেখা হচ্ছে সেই বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। কারণ, আমি ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে একদমই সক্রিয় নই। সিরিয়ালে যা দেখানো হয়েছে, তার সঙ্গে হয়তো শহুরে পরিবারের কিংবা মায়েদের কোনও মিল পাওয়া যাবে না। তবে লেখক তো কিছু ভেবেই এমন দৃশ্য লিখেছেন। আর যাঁরা ছেলের সঙ্গে মায়ের ফুলশয্যার মতো কটূক্তি করছেন, সে বিষয়ে বলব এটা সম্পূর্ণ বিকৃত মানসিকতার প্রতিফলন। দর্শককে বুঝতে হবে কোন প্রেক্ষাপটে লেখক এমন দৃশ্য লিখেছেন। কারণ পরাগই হল মায়ের একমাত্র সম্বল। সুতরাং বৌ আসার পর তাই মায়ের মনে হচ্ছে ছেলে দূরে হয়ে যাচ্ছে। তাঁকে আঁকড়ে ধরার জন্যই কিন্তু এমন অনেক কিছু ঘটছে।আর তা ছাড়া আমার ছেলেও বাইরে থেকে কলকাতায় এলে আমরা একসঙ্গে শুই। এমন ধরনের ভাবনা সত্যিই মেনে নেওয়া যায় না।” পাড়ার পাঁচ মহিলার নিজেদের জীবনের সংগ্রামের প্রেক্ষাপটেই তৈরি হয়েছে সিরিয়ালের গল্প। আগামী দিনে শিমূল-সহ বাকিদের জীবন কোন দিকে মোড় নেয়, তা দেখার অপেক্ষায় দর্শক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement