Rail

লাইন পারাপার ঠেকাতে গার্ডরেল, ক্ষুব্ধ স্থানীয়েরা 

রেলকর্তাদের সামনেই স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা লাইন পারাপারের ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ায় তাঁদের দীর্ঘ পথ ঘুরে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০৭:১৪
Share:

রেলের পক্ষ থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতন করার চেষ্টাও হয়। —প্রতীকী চিত্র।

ট্রেনের সময়ানুবর্তিতা এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ও একই সঙ্গে দুর্ঘটনা কমাতে শিয়ালদহ- শান্তিপুর-কৃষ্ণনগর শাখার একাধিক জায়গায় রেললাইনের ধারে সম্প্রতি ইস্পাতের গার্ডরেল দিয়ে বেড়া দিয়েছে রেল। মূলত ওই সব অংশে খোলা রেললাইন দিয়ে স্থানীয় লোকজন ছাড়াও মোটরবাইক এবং পণ্যবাহী ছোট গাড়ির পারাপার বাড়ছিল বলে অভিযোগ। এর ফলে ট্রেনের সময়ানুবর্তিতা ধাক্কা খাওয়া ছাড়াও দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছিল। গত কয়েক মাসে ওই রেলপথে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি, শিয়ালদহ ডিভিশনের অন্যতম ব্যস্ত এই শান্তিপুর-কৃষ্ণনগর শাখায় লোকাল ট্রেন ছাড়াও অন্যান্য ট্রেনের সময়ানুবর্তিতা প্রবল ভাবে ব্যাহত হচ্ছিল। শেষমেশ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ওই রেলপথের ১৭টি জায়গায় রেললাইনের দু’ধারে গার্ডরেল দিয়ে বেড়া দেয় রেল। যাতে হালকা থেকে ভারী যানবাহন এবং মোটরবাইক এবং স্কুটারের পারাপার বন্ধ হয়।

Advertisement

রেলের পক্ষ থেকে এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতন করার চেষ্টাও হয়। কিন্তু রেললাইন দিয়ে পারাপার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার ওই পথ পরিদর্শনের সময়ে রেলের পরিদর্শন- যান আটকে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় লোকজনের একাংশ। ঘটনার সময়ে ওই পরিদর্শন- যানে ছিলেন পূর্ব রেলের অতিরিক্ত জেনারেল ম্যানেজার সুমিত সরকার-সহ অন্য আধিকারিকেরা। ওই রেলকর্তাদের সামনেই স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা লাইন পারাপারের ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ায় তাঁদের দীর্ঘ পথ ঘুরে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।

রেলকর্তাদের অভিযোগ, বর্তমানে শান্তিপুর-কৃষ্ণনগর শাখায় ট্রেনের সংখ্যা বেড়েছে। ফলে, সময়ানুবর্তিতা ফেরানোর যথেষ্ট চাপ রয়েছে। সেই সঙ্গে যাত্রী সুরক্ষা নিশ্চিত করা ছাড়াও যথেচ্ছ লাইন পারাপারের কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে রেললাইনের দু’পাশ ঘিরে দেওয়াও জরুরি ছিল বলে জানাচ্ছেন রেলের আধিকারিকেরা। তাঁদের মতে, ট্রেন চলাচল নির্বিঘ্নে না হলে দুর্ঘটনা ঠেকানো বা সময়ানুবর্তিতা রক্ষা করা কোনও ভাবেই সম্ভব হবে না। এই নিয়ে প্রচারে আরও জোর দেওয়া হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement