প্রতীকী ছবি।
গল্ফ গ্রিনে রবিবার অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনাটি খুন না কি দুর্ঘটনা— তা খতিয়ে দেখছে যাদবপুর থানার পুলিশ।
তদন্তকারীরা জানান, সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ ঘটনাটি জানা যায়। গল্ফ গ্রিনের সেন্ট্রাল পার্কের কাছে ‘বি’ ব্লকের সামনে একটি পাঁচতলা বাড়ি তৈরি হচ্ছে। সেটির পাশের রাস্তায় বছর তিরিশের ওই যুবককে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
স্থানীয় এক বৃদ্ধ দম্পতির কথায়, ‘‘মনে হয় ওই যুবক পাশের নির্মীয়মাণ বাড়ির উপরে চুরি করতে উঠে দুর্ঘটনাবশত নীচে পড়ে গিয়ে মারা গিয়েছেন।’’
প্রাথমিক ভাবে পুলিশও মনে করছে দুর্ঘটনাবশত পড়ে মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। ডিসি (এসএসডি) সুদীপ সরকার বলেন, ‘‘সিসি ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে, নির্মীয়মাণ ওই বাড়ির চারতলায় রবিবার ভোর চারটে নাগাদ এক যুবক সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠছেন। হতে পারে, তিনি চুরির উদ্দেশ্যেই সিঁড়ি দিয়ে উঠছিলেন। কোনও ভাবে নীচে পড়ে গিয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়না-তদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ পরিষ্কার হবে।’’
গল্ফ গ্রিনের বহু আবাসনে বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা একা থাকেন। এ দিনের ঘটনার পরে তাঁরা অনেকেই উদ্বিগ্ন। ‘বি’ ব্লকের বাসিন্দা এক বৃদ্ধার অভিযোগ, ‘‘রাতে এখানে পুলিশ ঠিক মতো টহল দেয় না।’’ তিনি বলেন, ‘‘সম্প্রতি একাধিক খুনের ঘটনায় প্রবীণেরা নিশানা হয়েছেন। এই ঘটনার পরে আমরাও চিন্তিত। পুলিশের কাছে আবেদন, গল্ফ গ্রিনে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হোক।’’ অবশ্য ডিসি-র দাবি, ‘‘ওই এলাকায় পুলিশি টহল ঠিকঠাকই চলছে। পুলিশ যাতে এলাকায় আরও নজরদারি বাড়ায়, সেই নির্দেশ দেওয়া হবে।’’ স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকায় বহিরাগতদের অবাধ যাতায়াত রয়েছে। রাতে সেখানে মোটরবাইক নিয়ে বহিরাগতেরা
দাপিয়ে বেড়ায়।