Dengue Death

শহরে আবারও প্রাণ কাড়ল ডেঙ্গি, হাসপাতালে সাত দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মৃত্যু সল্টলেকের বৃদ্ধের

বর্ষায় বরাবরই কলকাতা এবং আশপাশে ডেঙ্গির প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। এ বছর রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে ডেঙ্গিতে মৃত্যুর খবর আসছে। জেলা থেকে শুরু করে কলকাতা, ডেঙ্গি ছড়িয়ে পড়েছে অবাধে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৫:১৫
Share:

—প্রতীকী ছবি।

কলকাতায় আবারও প্রাণ কাড়ল ডেঙ্গি। একটি বেসরকারি হাসপাতালে সাত দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার রাতে মৃত্যু হয়েছে সল্টলেকের এক বাসিন্দার। ‘ডেথ সার্টিফিকেট’-এ মৃত্যুর কারণ হিসাবে ডেঙ্গির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

Advertisement

জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম পিনাক সরকার। বয়স ৬৬ বছর। জ্বর এবং অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে গত ১৫ সেপ্টেম্বর বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ওই বৃদ্ধ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে। ওই দিন রাতেই মৃত্যু হয় তাঁর।

বর্ষায় বরাবরই কলকাতা এবং আশপাশে ডেঙ্গির প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। এ বছর রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে ডেঙ্গিতে মৃত্যুর খবর আসছে। জেলা থেকে শুরু করে কলকাতা এবং শহরতলি, ডেঙ্গি ছড়িয়ে পড়েছে অবাধে। মশাবাহিত এই রোগে গত সোমবার দু’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। তাঁদের মধ্যে এক জন ছিলেন কলেজছাত্রী, অন্য জন গৃহবধূ। চলতি মাসের শুরুর দিকে কলকাতার হাসপাতালে ডেঙ্গিতে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর তাঁর অবস্থার অবনতি হয়। গত বুধবার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় দমদমের এক কিশোরীর।

Advertisement

সরকারের তরফে ডেঙ্গিতে মৃত্যুর কোনও পরিসংখ্যান এখনও প্রকাশ করা হয়নি। তবে বেসরকারি সূত্রের খবর, চলতি মরসুমে গত জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গিতে মারা গিয়েছেন ৩৫ জন। কিছু দিন আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক ছাত্রও ডেঙ্গিতে মারা যান।

অন্য দিকে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরের বাসিন্দা এক মহিলার।চলতি মাসে জেলায় এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে চার জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ৯৯৪ জন। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্য শঙ্কর ষড়ঙ্গী বলেন, “ডেঙ্গি রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছিল মৃত মহিলার। একাধিক রোগে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। পরে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement