—প্রতীকী চিত্র।
চড়া হারে মোটা টাকা ফেরত পাওয়ার আশ্বাস পেয়ে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করে প্রায় ৬৯লক্ষ টাকা খুইয়েছিলেন এক ব্যক্তি। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে প্রাথমিক ভাবে চিনের যোগসূত্র পেল লালবাজার।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, এখানকার প্রতারকেরা চিনে থাকা প্রতারকদের সাহায্য নিয়ে ওই কাণ্ড ঘটিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় দিল্লি থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। ধৃতের নাম কলিম আহমেদ। তার বাড়ি উত্তরপ্রদেশের মজফ্ফরপুরে। কলিমকে বুধবার কলকাতায় এনে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে আগামী ১ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত ২০২২ সালে। টেলিগ্রামের একটি গ্রুপের মাধ্যমে কয়েকজনের সঙ্গে আলাপ হয় খিদিরপুরের বাসিন্দা এক ব্যক্তির। তারা তাঁকে আশ্বাস দেয়, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে চড়া হারে রিটার্ন পাওয়া যাবে। ওই ব্যক্তিদের কথায় বিশ্বাস করে অভিযোগকারী কয়েক দফায় সেখানে টাকা বিনিয়োগকরেন। কিন্তু, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তিনি কোনও টাকা ফেরত পাননি। তখন তাঁকে একটি ভুয়ো ওয়েবসাইটে যোগাযোগ করতে বলেপ্রতারকেরা।
সেই মতো ওই ব্যক্তি বিনিয়োগ করা টাকা ফেরত পেতেআরও কিছু টাকা দেন ইউপিআই এবং ক্রিপ্টোর মাধ্যমে। তার পরেও টাকা ফেরত আসেনি। তখন ওই ব্যক্তি পুলিশের দ্বারস্থ হন।
লালবাজার জানিয়েছে, তদন্তে নেমে দেখা যায়, টেলিগ্রামের গ্রুপটি তৈরি করা হয়েছেচিনের আইপি অ্যাড্রেস দিয়ে। ওই গ্রুপে যারা রয়েছে, তাদের অধিকাংশের প্রোফাইল চিনের। এমনকি, যত টাকা ওয়ালেটেরমাধ্যমে হাতানো হয়েছে, সেগুলিরও বেশির ভাগ চিনের ওয়ালেট।
পাশাপাশি, ব্যবহার করা হয়েছে ভারতের কিছু ওয়ালেটও। সূত্রের খবর, ধৃত কলিম এমনই একাধিক ওয়ালেট ব্যবহার করে ওই টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে নিয়েছে। সেই সূত্রেই তাকে ধরা হয়।