প্লাস্টিক-জঞ্জালে মুখ ঢেকেছে সাজানো পার্ক

কেএমডিএ-র বক্তব্য, প্রয়োজনের তুলনায় নিরাপত্তারক্ষী কম থাকায় ওই বিনোদন পার্কে প্রবেশের সময়ে যে ধরনের নজরদারি প্রয়োজন তা থাকে না।

Advertisement

কৌশিক ঘোষ ও দেশকল্যাণ চৌধুরী

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:৪৫
Share:

—ফাইল চিত্র

পার্কের এক দিকে স্তূপীকৃত হয়ে রয়েছে আবর্জনা। কোথাও ডাঁই করা আছে প্লাস্টিক। পার্কের মধ্যে জলাশয়েও ভাসছে প্লাস্টিকের বোতল। জলাশয়ের পাড় ভেঙে গিয়েছে একাধিক জায়গায়। এমন অবস্থা দক্ষিণ শহরতলির পাটুলির ‘বেণুবনচ্ছায়া’ বিনোদন পার্কের। সেটি দেখভাল করে কেএমডিএ। স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন উঠেছে, এই বিনোদন পার্কের এমন নরক দশা কেন? প্লাস্টিক নিষিদ্ধ থাকলেও সেই নিয়ম অগ্রাহ্য করে প্রচুর প্লাস্টিক কী ভাবেই বা জমছে?

Advertisement

কেএমডিএ-র বক্তব্য, প্রয়োজনের তুলনায় নিরাপত্তারক্ষী কম থাকায় ওই বিনোদন পার্কে প্রবেশের সময়ে যে ধরনের নজরদারি প্রয়োজন তা থাকে না। ফলে কেউ ব্যাগে প্লাস্টিক বা প্লাস্টিকের কোনও জিনিস নিয়ে ঢুকছেন কি না, তা-ও দেখা সব সময়ে সম্ভব হয় না। তবে তারা জানিয়েছে, প্লাস্টিক নিয়ে প্রবেশ ঠেকাতে নজরদারি এবং তল্লাশি আরও বাড়ানো হবে। সেই বিষয়টির উপরেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

ওই পার্কে একটি ট্রামের কামরাকে সাজিয়ে রেস্তরাঁ তৈরি করা হয়েছে, যেটি পরিচালনা করে বাইরের এক সংস্থা। অভিযোগ, ওই রেস্তরাঁর খাবারের উচ্ছিষ্ট পার্কের এক দিকে জমা করা হয়। তা পরিষ্কার হয় সপ্তাহে মাত্র এক দিন। কেন এমন অবস্থা? ওই রেস্তরাঁর তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিদিন এখান থেকে জঞ্জাল অপসারণের পরিকাঠামো তাদের নেই। এই পরিপ্রেক্ষিতে কেএমডিএ জানিয়েছে, জঞ্জাল দ্রুত অপসারণের বিষয়টির উপরে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কলকাতা পুরসভার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও হয়েছে তাদের।

Advertisement

তবে পার্কের মধ্যে থাকা জলাশয়ের পাড় শালবল্লা দিয়ে বাঁধাতে যত টাকা প্রয়োজন তা কেএমডিএ-র হাতে এই মুহূর্তে নেই। সে কারণে সামগ্রিক ভাবে ওই জলাশয়ের সৌন্দর্যায়নের জন্য সেটিকে নগরোন্নয়ন দফতরের ‘গ্রিন মিশন’ প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কেএমডিএ-র এক আধিকারিক জানান, ‘গ্রিন মিশন’ প্রকল্পে জলাশয়ের পাড় বাঁধানো ছাড়াও পার্কের সবুজ যাতে কোনও ভাবে নষ্ট না হয়, সে ব্যাপারেও পরিকল্পনা নেওয়া হবে।

২০১০ সালে পাটুলিতে সবুজ বাঁচাতে বাইপাসের ধারে এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরের বছর উদ্বোধন হয় প্রকল্পটির। বিনোদন ছাড়াও পার্কের দু’টি জলাশয়ে বোটিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। মাছ চাষের জন্য ওই দু’টি জলাশয়কে মৎস্য দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement