দিলীপ-শুভেন্দু দ্বন্দ্বের মধ্যেই বিজেপি দফতরে অমিত শাহ। ফাইল চিত্র।
কলকাতায় এলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাত সাড়ে ৮টার পর তাঁর বিমান কলকাতা বিমানবন্দরের মাটি ছোঁয়। বিমান থেকে নেমে শাহ সোজা পৌঁছন রাজ্য বিজেপির সদর দফতর মুরলীধর সেন লেনে। সেখানে বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক তাঁর। তাতে হাজির থাকার কথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রমুখের। দিলীপ-শুভেন্দু তরজার আবহে শাহের সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা।
এ দিন বিমানবন্দরে শাহকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু। ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে মুরলী ধর সেন লেনে আসার পথে শাহের সঙ্গে একই গাড়িতে দেখা যায় সুকান্ত এবং শুভেন্দুকে।
পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা এখনও হয়নি। কিন্তু নিজের নিজের মতো করে ঘর গোছাতে শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। এই প্রেক্ষিতেই বঙ্গে শাহ। বঙ্গ বিজেপির দুই নেতা দিলীপ ও শুভেন্দুর মধ্যে তুমুল বাগ্যুদ্ধের আবহে শাহের এই সফর অত্যন্ত গুরুত্পূর্ণ। দুই নেতার মধ্যে গোলমাল মেটাতে তিনি কী বার্তা দেবেন? পঞ্চায়েত জেতার মূল হাতিয়ার বুথ স্তরের সংগঠনকে চাঙা করতে দাওয়াই দিতে পারবেন কি তিনি? জল্পনা তৈরি হয়েছে। দলীয় দফতরে বৈঠক সেরে হোটেলে ফিরে যাবেন শাহ। সেখানেও একটি বৈঠক হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
শাহের সফর ঘিরে কলকাতা বিমানবন্দরে কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছিল। হাজির ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি-সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তারা। বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে শাহের কনভয় ভিআইপি রোড ধরে পৌঁছবে বিজেপির রাজ্য দফতরে।
শাহের এ বারের সফরের মূল কর্মসূচি, শনিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পূর্বাঞ্চল পরিষদের (ইস্টার্ন জোনাল কাউন্সিল) বৈঠক। পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে সমন্বয়, নিরাপত্তা, সমস্যা সমাধানের কৌশল ইত্যাদি বিষয়কে সামনে রেখে গত ৫ নভেম্বর নবান্ন সভাঘরে পূর্বাঞ্চল পরিষদের ওই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। ওই বৈঠকে পৌরোহিত্য করার কথা ছিল শাহের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা পিছিয়ে যায়। এ বার সেই সরকারি বৈঠকে যোগ দেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।