শুভেন্দুর নিজাম প্যালেসের দফতরে প্রায় আধ ঘণ্টা ছিলেন হিরণ। —নিজস্ব চিত্র।
দলবদলের জল্পনার মাঝেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার প্রায় আধ ঘণ্টা খড়্গপুরের বিধায়ক ছিলেন শুভেন্দুর নিজাম প্যালেসের দফতরে। একান্তে আলোচনার পরে ছবিও তোলেন তাঁরা।
কয়েক দিন আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিজেপি বিধায়ক হিরণ সাক্ষাৎ করেন বলে জল্পনা ছড়ায়। সেই জল্পনা আরও বেড়েছে হিরণের টুইটার অ্যাকাউন্ট দেখে। কারণ, সেখানে ‘বিজেপি’ শব্দ মুছে খড়্গপুর সদরের বিধায়ক এবং কাউন্সিলর কথাটি লেখা থাকলেও কোন দলের সঙ্গে তিনি যুক্ত, তার কোনও উল্লেখ নেই।
আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা রয়েছে। সেখানেই হিরণ বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে তৃণমূলে ফিরতে পারেন বলে জোরালো জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কোনও তরফেই কোনও আনুষ্ঠানিক সমর্থন মেলেনি। তৃণমূলের একাংশের দাবি, হিরণ প্রত্যাবর্তনে ‘আগ্রহী’। এই জল্পনার মাঝেই শুভেন্দুর সঙ্গে দেখা করলেন হিরণ। সাক্ষাতের পর বিজেপি বিধায়কের পিঠ চাপড়ে দিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘হিরণ বাইরে গিয়েছিল। এসে আমার সঙ্গে মিট (সাক্ষাৎ) করেছে। ভাল থাকুক। সোমবার আবার দেখা হবে।’’ তবে হিরণ শুক্রবারের এই দেখা হওয়া এবং একান্ত বৈঠক প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
তার আগে খড়্গপুরে সভায় গিয়ে হিরণ বলেছেন, ‘‘যার ভাল তার কাছ থেকে ভালটা নেব। খারাপটা বর্জন করব। গত চার পাঁচ দিন অনেকেই আমায় ফোন করেছেন। আমি বাইরে ছিলাম। তাই কারও ফোন ধরিনি।’’ দলবদলের জল্পনা নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যায় না গিয়ে হিরণ বলেছেন, ‘‘সময় সব উত্তর দেবে।’’ তাঁর সংযুক্তি, ‘‘জীবনে আজ অব্দি কালো দাগ লাগার সুযোগ দিইনি।’’ একই সঙ্গে খড়্গপুর সদরের মানুষের সঙ্গে থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, আগে তৃণমূলেই ছিলেন হিরণ। অভিষেকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কও ভাল ছিল। তবে ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেন। গেরুয়া দলের টিকিটে প্রার্থী হয়ে জয়ীও হন। তবে পশ্চিম মেদিনীপুরের ক্ষমতার অলিন্দে চোরাস্রোত অনেক আগেই লক্ষ করা গিয়েছিল। শোনা যায়, দিলীপ ঘোষের সঙ্গে হিরণের মতানৈক্যের কথাও। যদিও প্রকাশ্যে কখনই কোনও পক্ষই এ নিয়ে মুখ খোলেননি।