জট: এখনও বন্ধ রয়েছে শিয়ালদহ স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্মের দিকের রাস্তা। স্টেশন চত্বরে হচ্ছে এমনই ভিড়। সোমবার। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক
শিয়ালদহ চত্বরের ট্র্যাফিক ব্যবস্থার উন্নতির জন্য স্টেশনে প্রবেশের বিকল্প রাস্তা তৈরি করা হবে। সেই নতুন প্রবেশপথের জন্য দরপত্র ডাকার কাজও হয়ে গিয়েছে। চলতি
বছরের শেষের দিকে ওই রাস্তার কাজ শেষ হবে বলে আশা পুলিশ এবং রেলের।
পুলিশ সূত্রের খবর, বর্তমানে শিয়ালদহ সাউথ এবং মেন স্টেশনের মধ্যবর্তী অংশে, যেখানে পার্সেল বুকিংয়ের জায়গা রয়েছে, তার পিছনে বেলেঘাটা খালের পাশ দিয়ে তৈরি হবে ওই নতুন রাস্তা। এতে ক্যানাল সাউথ-ওয়েস্ট রোড ধরে খুব সহজেই শিয়ালদহ স্টেশনে পৌঁছনো যাবে। ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তা জানান, ওই রাস্তা তৈরি হলে ট্রেন ধরতে উত্তর বা পূর্ব কলকাতা থেকে আসা গাড়িকে ঘুরে বেলেঘাটা মেন রোড ধরে আর শিয়ালদহ স্টেশনে আসতে হবে না। এতে বেলেঘাটা মেন রোড বা বি আর সিংহ হাসপাতালের সামনে যেমন গাড়ির চাপ কমবে, তেমনই যাত্রী-ভোগান্তিও কম হবে বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, নতুন রাস্তাটির সঙ্গে রেলের তরফে একটি গাড়ি রাখার জায়গাও বানানো হচ্ছে।
শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে শপিং কমপ্লেক্স খোলা থেকে শুরু করে ক্যাব পার্কিং, এক নম্বর প্ল্যাটফর্মের দিকের দরজা খোলা নিয়ে গত সপ্তাহে রেলকে কড়া চিঠি দিয়েছিল কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ। তাদের বক্তব্য ছিল, কলকাতা পুলিশের সঙ্গে কোনও আলোচনা ছাড়াই স্টেশন চত্বরে শপিং কমপ্লেক্স ও ক্যাব পার্কিংয়ের জায়গা তৈরি করা হয়েছে, যার ফলে সংলগ্ন এলাকায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এই পরিস্থিতি সামলাতে রেলকে কয়েক দফা পদক্ষেপের পরামর্শ দিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। যা নিয়ে সোমবার পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ডিভিশনের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজারের সঙ্গে বৈঠক করেন কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের আধিকারিকেরা।
লালবাজার সূত্রের খবর, ওই বৈঠকেই রেলের তরফে নতুন প্রবেশপথ এবং পার্কিং নিয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা পুলিশকে জানানো হয়। একই সঙ্গে এক নম্বর প্ল্যাটফর্মের গেটের একাংশে নির্মাণকাজ চলায় ওই রাস্তা খোলা যাবে না বলেও জানানো হয়েছে।
পুলিশের তরফে চিঠি দিয়ে স্টেশন চত্বরের মধ্যে কিছু দোকান খোলায় যানজটের আশঙ্কা করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, রেলের তরফে জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র রেলযাত্রীদের জন্যই স্টেশন চত্বরে ওই বিপণি খোলা হয়েছে। ফলে বাইরের কেউ সেখানে না আসায় স্টেশন চত্বরে গাড়ির চাপ বাড়বে না বলেই অনুমান তাদের। তবে পুলিশের দাবি মেনে অ্যাপ-ক্যাবের জন্য নির্ধারিত জায়গায় তদারকি করার জন্য লোক রাখা হবে এবং পরবর্তী কালে সেটি সাউথ স্টেশনের দিকে সরিয়ে দেওয়া যাবে বলে রেলের তরফে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বর্তমানে স্টেশনের বাইরের যেখানে ঝুলন্ত বাগান রয়েছে সেখানে ভিআইপি গাড়ি পার্কিং করতে দেওয়া নিয়ে রেল সায় দিয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।