তৃণমূল ভবনে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় দলে ফেরাচ্ছেন অলোক চক্রবর্তী এবং জ্যোতি তিরকেকে। নিজস্ব চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলে ফিরে এলেন অলোক চক্রবর্তী, জ্যোতি তিরকে। মঙ্গলবার তৃণমূল ভবনে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে তাঁরা ফের তৃণমূলে যোগ দেন।
অলোক প্রথমে তৃণমূলে ছিলেন। তারপর তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন। দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের সহ-সভাপতি পদে ছিলেন অলোক। উত্তরবঙ্গে চা শ্রমিকদের আন্দোলনে নেতৃত্বও দেন শ্রমিক সংগঠনের এই নেতা। সেখান থেকে তিনি মঙ্গলবার তৃণমূলে যোগ দেন। দলবদল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এর আগে আমি তৃণমূলেই ছিলাম। মাঝখানে অন্য দল থেকে এখন আবার আমি ফের ঘরে ফিরছি। বাংলার কৃষ্টি, সংস্কৃতি ধ্বংস করতে চাইছে বিজেপি। এই সময় বাংলার জন্য তৃণমূলকে দরকার।’’ যাঁরা এখন ভুল বুঝে দল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন, তাঁদেরকে ৬ মাসের মধ্যে ফিরে আসতে হবে বলেও দাবি করেন তিনি।
বামফ্রন্ট আমলে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অন্তর্গত একটি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছিলেন জ্যোতি। আদিবাসী নেত্রী হিসেবেই তিনি পরিচিত। আদিবাসীদের দাবিদাওয়া নিয়ে একাধিকবার তাঁকে আন্দোলন করতে দেখা যায়। বাম জমানার পর তৃণমূলে যোগ দিলেও, পরে সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে থাকেন জ্যোতি। মঙ্গলবার ফের ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখান তিনি। দলে ফিরে আসা প্রসঙ্গে তিনি জানান, মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। তাই আবার ফিরে এলাম। মঙ্গলবার অলোক, জ্যোতি ছাড়াও তৃণমূলে যোগ দেন ব্যবসায়ী মানব জয়সওয়াল। তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামী নেবুলাল শাহের প্রপৌত্র।