বিজন সেতু।
বিজন সেতুর নীচে রাজ্য পরিবহণ দফতরের কর্মীদের জন্য যে ক্যান্টিন রয়েছে, কেএমডিএ-র অনুমোদন ছাড়াই সেতুর দেওয়াল ব্যবহার করে সেটির সম্প্রসারণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কেএমডিএ-র এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সেতুর নীচে ক্যান্টিনের সম্প্রসারণ নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ আসে। পুলিশ পুরসভা এবং কেএমডিএ-কে খবর দেয়। মঙ্গলবার কেএমডিএ ও পুরসভার আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে যান। তাঁরা বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। কেএমডিএ-র আধিকারিকদের অভিযোগ, ওই ক্যান্টিনের চিমনি বিজন সেতুর দেওয়াল ভেঙে তৈরি করা হয়েছে। তাঁদের আশঙ্কা, এর ফলে সেতুর ক্ষতি হতে পারে।
রাজ্য পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, ওই ক্যান্টিন চালানোর জন্য একটি বেসরকারি সংস্থাকে লিজ় দেওয়া হয়েছে। ক্যান্টিনের তরফে দেবাশিস মাইতি ভুল স্বীকার করে বলেন, ‘‘আমি এই কাজ করার জন্য কেএমডিএ অথবা পুরসভার কোনও অনুমতি নিইনি। এটা আমার ভুল হয়ে গিয়েছে।’’ কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘আমি খোঁজ নিচ্ছি। প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেব।’’
কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানান, মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়ার পরেই শহরের বিভিন্ন এলাকায় কেএমডিএ নির্মিত উড়ালপুল ও সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। সেই কারণে শহরে কেএমডিএ নির্মিত সব ক’টি সেতুরই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে কোথায় কোথায় মেরামতি প্রয়োজন, তা নিয়ে একটি রিপোর্ট তৈরি হয়েছে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী বিজন সেতুতেও মেরামতির কাজ হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।