আতঙ্কের সময়ে বহিরাগতদের ভিড় তৈরি করেছিল বা়ড়তি সমস্যা। শনিবার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিভাগের পাঁচতলায় আগুন লাগে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন রোগী ও তাঁদের আত্মীয়েরা। তখন বেশ কিছু বহিরাগত রোগীর আত্মীয় পরিচয় দিয়ে ওই বিভাগে ঢোকার চেষ্টা করেন। সেখানে সদ্যোজাত শিশুদের রাখা হয়। শিশু চুরির মতো ঘটনা এড়াতে নার্সেরা শিশুদের নিরাপত্তার দিকে বাড়তি নজর রাখেন। হাসপাতালের কর্মী, নার্স ও জুনিয়র চিকিৎসকদের সক্রিয়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকে। স্ত্রীরোগ বিভাগের প্রধান আরতি বিশ্বাস জানান, কিছু বহিরাগত রোগীর পরিজন বলে দাবি করেন। সংবাদমাধ্যমকেও বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই তালিকা মিলিয়ে রোগীদের ওয়ার্ডে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার ওই বিভাগে কাঠের কাজ চলছিল। তখনই শট সার্কিট থেকে আগুন লাগে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন রোগীরা। এই ঘটনা থেকে আরও সচেতন হয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানিয়েছেন, মেরামতির সময়ে আরও সাবধানতা অবলম্বন করা হবে। হাসপাতালের সুপার পীতবরণ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পুলিশ ও হাসপাতালের রক্ষীরা বহিরাগতদের আটকানোর জন্য সব সময়ে তৎপর থাকেন। তা সত্ত্বেও অনেকে ঢুকে পড়েন। তবে নজরদারি আরও বাড়ানো হবে।’’