bomb blast

ভাটপাড়ায় রাতভর বোমাবাজি, জখম খোদ পুলিশই

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই দফায় দফায় গোলমাল শুরু হয় দুষ্কৃতীদের মধ্যে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০২১ ০৫:২৮
Share:

প্রতীকী চিত্র।

ভাটপাড়ায় এ বার বোমার আঘাতে জখম হল খোদ পুলিশ। নির্বাচনের পর থেকেই ভাটপাড়া ও জগদ্দলে দুষ্কৃতীদের বোমার লড়াই ঘিরে তৃণমূল-বিজেপির কাজিয়া অব্যাহত। শুক্রবার রাতভর বোমাবাজি চলল ভাটপাড়ার পালঘাট রোডের পুরানি বাজারে। দফায় দফায় চলা ওই গোলমাল থামাতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের বোমার লক্ষ্য হয়ে যায় পুলিশ। বোমার স্‌প্লিন্টারের আঘাতে জখম হন ভাটপাড়া থানার দুই পুলিশকর্মী অভিজিৎ ঘোষ ও প্রসেনজিৎ বিশ্বাস। ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশও শূন্যে ছ’রাউন্ড গুলি চালায় বলে খবর। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ডিসি পদমর্যাদার আধিকারিকদের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই দফায় দফায় গোলমাল শুরু হয় দুষ্কৃতীদের মধ্যে। তিনটি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। রাতের দিকে একটি বাড়ি ভাঙচুরের সময়ে ছাদের উপর থেকে দুষ্কৃতীদের লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে থাকেন লোকজন। পরের পর বাড়ি ভাঙচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। ইতিমধ্যেই দুষ্কৃতীদের দু’দলের মধ্যে বোমা ছোড়াছুড়ি শুরু হয়ে যায়। এলাকার লোকজন জানাচ্ছেন, সারা রাতই দফায় দফায় বোমাবাজি হয়েছে। আতঙ্কে তাঁরা সারা রাত জেগেই কাটান বলে জানান রিঙ্কি সাউ নামে এক বাসিন্দা।

পুলিশ সূত্রের খবর, ওই রাতে এলাকায় ৬০টির মতো বোমা পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রথমে ভাটপাড়া ও জগদ্দল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পরে নৈহাটি, বীজপুর-সহ ব্যারাকপুর কমিশনারেটের একাধিক থানার পুলিশ সেখানে যায়। সূত্রের খবর, পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা নিজে ওসিদের ফোন করে ঘটনাস্থলে পৌঁছতে নির্দেশ দেন। বোমার স্‌প্লিন্টার হাতে-পায়ে লাগে দুই পুলিশকর্মীর। কয়েকটি বাড়ি এবং দোকানও বোমার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

Advertisement

ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা বলেন, ‘‘বোমাবাজির ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ ধৃতদের কাছ থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, ১২ রাউন্ড গুলি আটক করার পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ২০টি কৌটোবোমাও উদ্ধার করা হয়েছে।’’

ঘটনার পরে প্রত্যাশিত ভাবেই পরস্পরের দিকে আঙুল তোলা শুরু করেছে বিজেপি এবং তৃণমূল। বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের অভিযোগ, ‘‘তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই এ সব করছে।’’ সেই অভিযোগ অস্বীকার করে জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের পাল্টা দাবি, ‘‘এলাকার সাংসদের ঘনিষ্ঠ লোকজনের দু’টি দলের মধ্যে লড়াইকে কেন্দ্র করেই বোমাবাজি হয়েছে। এতে তৃণমূল জড়িত নয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement