Kolkata Airport

বিমানযাত্রীদের ব্যাগ জীবাণুমুক্ত করতে যন্ত্র বসানোর ভাবনা

কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘হাত দিয়ে স্প্রে করে যাত্রীদের মালপত্র জীবাণুমুক্ত করার বদলে যন্ত্র এনে অতিবেগুনি রশ্মির মাধ্যমে ওই কাজ করার কথা ভাবা হচ্ছে।’’

Advertisement

সুনন্দ ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০২০ ০৩:২৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

কলকাতা বিমানবন্দরে ঢোকার মুখে এবং সেখান থেকে বেরোনোর আগে এখন হাতে ধরা যন্ত্র দিয়ে স্প্রে করে জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে যাত্রীদের মালপত্র। কিন্তু অনেক যাত্রী অভিযোগ করছেন, জীবাণুমুক্ত করার সেই তরল তাঁদের গায়ে পড়লে চর্মরোগ হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। সমস্যার সমাধানে তাই মালপত্র জীবাণুমুক্ত করতে যন্ত্র বসানোর তোড়জোড় শুরু করেছেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই দিল্লি, মুম্বই এবং হায়দরাবাদ বিমানবন্দরে পরীক্ষামূলক ভাবে শুরু হয়েছে এই কাজ।

Advertisement

কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘হাত দিয়ে স্প্রে করে যাত্রীদের মালপত্র জীবাণুমুক্ত করার বদলে যন্ত্র এনে অতিবেগুনি রশ্মির মাধ্যমে ওই কাজ করার কথা ভাবা হচ্ছে।’’

এখন বিমানবন্দরের টার্মিনালে ঢোকার মুখে প্রতিটি গেটে যাত্রীদের মালপত্র স্প্রে করে তরল ছিটিয়ে জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। একই ভাবে কলকাতায় আসা যাত্রীদের মালপত্র বিমান থেকে নামিয়ে কনভেয়ার বেল্টে তোলার আগে সেগুলি জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। বিমানবন্দর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্বে রয়েছে যে সংস্থা, তাদের দিয়েই এই কাজ করাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

এ বার যন্ত্র বসানোর প্রস্তাব যাচ্ছে। এমন প্রতিটি যন্ত্রের বাজারদর ৮-১০ লক্ষ টাকা। সবুজ সঙ্কেত এলে দোতলায় চারটি ডিপারচার গেটে চারটি যন্ত্র বসবে। এ ছাড়াও নীচে অ্যারাইভালে অন্তর্দেশীয় ক্ষেত্রের ১০টি এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের ছ’টি কনভেয়ার বেল্টের সামনে এই যন্ত্র বসানো হবে। কাদের কাছ থেকে যন্ত্র কেনা হবে, তা নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে। দিল্লি-মুম্বইয়ে পরীক্ষামূলক ভাবে যে যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে, তা কোনও নামী সংস্থার নয়। ফলে তার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। এই দাবিও উঠেছে, ওই যন্ত্র ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)-কে দিয়ে অনুমোদন করানো হোক।

কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর, কেরলের একটি বিমানবন্দরে ডিআরডিও নিজে যন্ত্র বসিয়ে যাত্রীদের মালপত্র জীবাণুমুক্ত করার কাজ করাচ্ছে। জানা গিয়েছে, নিজেদের নকশায় তারা ওই যন্ত্র তৈরি করিয়েছে একটি নতুন সংস্থাকে দিয়ে। তার খরচও তুলনায় কম হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, এমন যন্ত্র এখানে বসলে যাত্রীরা টার্মিনালে ঢোকার মুখে তাঁদের মালপত্র অনেকটা এক্স-রে মেশিনের মতো ওই যন্ত্রের ভিতরে দিয়ে দেবেন। তাতে জীবাণুমুক্ত হয়ে যাবে মালপত্র। যাত্রীর দেহেও তার আঁচ পড়বে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement