Agitators

বৃষ্টির জমা জল সরাতে কোদাল হাতে আন্দোলনকারীরা

গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি-র কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী জানান, প্রবল বৃষ্টি শুরু হতেই কিছু সময়ের মধ্যে তাঁদের ধর্না মঞ্চে জল জমতে শুরু করে। ফলে ছাতা মাথায় সেখানে দাঁড়িয়েও থাকা যাচ্ছিল না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২৩ ০৬:২২
Share:

অসহায়: জল জমে যাওয়ায় ধর্না মঞ্চ থেকে সরে যাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। রবিবার, ধর্মতলায়। —নিজস্ব চিত্র।

তুমুল বৃষ্টি ঠেকাতে ভরসা মাথার উপরের ত্রিপল। কিন্তু, সেই ত্রিপলও বৃষ্টির সঙ্গে অল্প হাওয়ায় উড়ে যাচ্ছে। তাঁদের ধর্না মঞ্চে ধীর গতিতে জমছিল জল। ফলে কোনও দিন যা হয়নি, রবিবার সকালে তাই হল। এ দিন অবস্থান মঞ্চে বসে সারাদিন কাটাতে পারলেন না মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশের অবস্থানকারীরা। তাঁরা জানালেন, রবিবার ছাতা মাথায় নিয়ে দাঁড়িয়েই তাঁদের দিন কেটে গেল।

Advertisement

গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি-র কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী জানান, প্রবল বৃষ্টি শুরু হতেই কিছু সময়ের মধ্যে তাঁদের ধর্না মঞ্চে জল জমতে শুরু করে। ফলে ছাতা মাথায় সেখানে দাঁড়িয়েও থাকা যাচ্ছিল না। বেশ কিছু সময় ধর্না মঞ্চ সংলগ্ন ফুটপাতে ছাতা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন আন্দোলনকারীদের অনেকেই।

কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী আবার কোদাল হাতে ধর্না মঞ্চের জমা জল সরাতে নেমে পড়েন। তাঁদেরই কয়েক জন জানালেন, শহিদ মিনারের কিছু জায়গায় পলেস্তারা খসিয়ে মেরামতির কাজ হচ্ছে। সেই সব ও অন্য বর্জ্য বস্তু নর্দমায় পড়ে অবরুদ্ধ হয়েছিল, ফলে জল বেরোচ্ছিল না। সেই জঞ্জাল তাঁরা কোদাল দিয়ে সরাতেই জল কিছুটা নামে।

Advertisement

ইন্টারভিউ বঞ্চিত আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী হাবিব শেখ বলেন, ‘‘এ বার তাপপ্রবাহে কষ্ট পেয়েছি। তখনও ত্রিপলের নীচে বসে থাকতে পারা যেত না। এখন বর্ষাকালে বৃষ্টির কারণে সমস্যা হচ্ছে একটু। কিন্তু, এ ভাবেই ৪১৭ দিন আমরা কাটিয়ে দিলাম। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা রোজ ধর্নায় বসেছি। প্রতিটি কর্মসূচি হয়েছে। দুর্যোগ থামাতে পারেনি।’’

আজ, সোমবার সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে শহিদ মিনার পর্যন্ত তাঁরা গেজেট মেনে আপডেট সিট করে নিয়োগের দাবিতে মিছিল করবেন। বৃষ্টি হলেও ছাতা হাতেই হাঁটবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement