ফাইল চিত্র।
গোটা শপিং মল বন্ধ। বিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ। ২ নম্বর বেসমেন্টে পড়ে পুড়ে যাওয়া গাড়ি আর মোটরবাইক। এসেও ফিরে গিয়েছেন মলের একাধিক অফিসের কর্মীরা। পুজোর মুখে এমন আকস্মিক দুর্ঘটনায় মাথায় হাত বিক্রেতাদের। এক কথায়, শুক্রবার এটাই ছিল সল্টলেকে বৈশাখী আবাসনের কাছে এজি ব্লকের শপিং মলটির চিত্র। কবে থেকে ফের কাজকর্ম চালু হবে, তার উত্তর মেলেনি কোনও তরফেই। মল কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর, দমকল সব খতিয়ে দেখে মল চালু করার অনুমতি দিলে তা ফের খোলা হবে। তবে এর মধ্যেও বিক্রেতারা বলছেন, আর্থিক লোকসান হলেও বড় বিপদের হাত থেকে তাঁরা বেঁচে গিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে আগুন লাগে এজি ব্লকের ওই শপিং মলে। শুক্রবার দেখা যায়, বেশি ক্ষতি হয়েছে ২ নম্বর বেসমেন্টের। ১ নম্বর বেসমেন্টে ধোঁয়া ছড়ালেও সেখানে রাখা গাড়িগুলির তেমন ক্ষতি হয়নি। প্রশ্ন উঠেছে, মলের অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা কতটা মজবুত ছিল। মল কর্তৃপক্ষের একটি সূত্রের দাবি, প্রথমে তাঁরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও বেসমেন্টে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে যায়। দমকলের ডিজি জগমোহন জানিয়েছেন, অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা পরীক্ষা করা হবে। যদিও এ দিন বিকেল পর্যন্ত ফরেন্সিক দলের দেখা মেলেনি। ওই দিন দমকলের দু’টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গেলে জলের অভাবে সমস্যা দেখা দেয়। মল কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর, তাঁদের নিজস্ব জলাধার রয়েছে। কর্তৃপক্ষের একাংশের আরও দাবি, বেসমেন্টে অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা বলবৎ করার কাজ চলছিল। তখনই ঘটে দুর্ঘটনা। যদিও দমকল জানিয়েছে, কী ধরনের কাজ সেখানে চলছিল তা খতিয়ে দেখা হবে।