mukul roy

TMC Martyrs' Day, July 21: চার বছর পরে ফের তৃণমূলের শহিদ দিবসের মঞ্চে মুকুল, তবে রইলেন মৌনীই

শেষ বার ২০১৭ সালে তৃণমূলের ‘শহিদ দিবস’ কর্মসূচিতে দেখা গিয়েছিল মুকুলকে। তবে সে বারও বক্তৃতা করেননি তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলাকাতা শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০২১ ১৮:৪৪
Share:

২১ জুলাইয়ের মঞ্চে দলনেত্রীর সঙ্গে মুকুল। নিজস্ব চিত্র।

আবার তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের কর্মসূচিতে দেখা গেল মুকুল রায়কে। ঠিক চার বছরের ব্যবধানে। বুধবার কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভার্চুয়াল কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন একদা তৃণমূলের ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’। শেষ বার ২০১৭ সালে তৃণমূলের ‘শহিদ দিবস’ কর্মসূচিতে দেখা গিয়েছিল মুকুলকে। তবে সে বার বক্তৃতা করেননি তিনি। বস্তুত, সে সময়ই দলনেত্রীর সঙ্গে তাঁর ‘দূরত্বের’ জল্পনা ছড়িয়েছিল। যে জল্পনা সত্য প্রমাণিত করে সেই বছরেরই বিজেপি-তে যোগ দেন মুকুল।

Advertisement

মমতার সঙ্গে মুকুলের ‘দূরত্ব’ সামনে এসেছিল ২০১৫ সালেও। সে বার ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে গরহাজির ছিলেন মুকুল। দিল্লিতে নিজের সরকারি বাংলোয় বেদি বানিয়ে শহিদ দিবস পালন করেছিলেন তখন রাজ্যসভার সাংসদ মুকুল। ২০১৬-র বিধানসভা ভোটের আগেই অবশ্য আবার দলের ‘মূলস্রোতে’ দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তৃণমূলের বিপুল জয়ের পরে ২০১৬-র শহিদ দিবসের মঞ্চে নজরকাড়া উপস্থিতি ছিল মুকুলের। সেবার বক্তৃতাও করেছিলেন তিনি। অর্থাৎ, ২০১৫ এবং ২০১৭ ছাড়া তৃণমূলের শহিদ দিবস পালনের মঞ্চে মুকুলকে বক্তৃতা করতে দেখা এবং শোনা গিয়েছিল। যদিও বুধবারের মঞ্চে শুধু তাঁর উপস্থিতিই রইল। মঞ্চে মমতার একেবারে পাশের আসনটি তাঁর জন্য ধার্য থাকলেও বক্তার তালিকায় নাম ছিল না মুকুলের।

প্রায় সাড়ে তিন বছর বিজেপি-তে কাটিয়ে গত ১১ জুন তৃণমূলে ফিরেছেন মুকুল। সঙ্গে নিয়ে এসেছেন তাঁর পুত্র তথা রাজ্যের প্রাক্তন বিধায়ক শুভ্রাংশুকেও। শাসকদলের সৌজন্যে বিধানসভার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি)-র চেয়ারম্যানও হয়েছেন। তবে খাতায়কলমে এখনও তিনি কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক। তাঁর বিধায়কপদ খারিজের দাবিতে ইতিমধ্যেই স্পিকারের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি।

Advertisement

তৃণমূল আগেই জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ পুনর্দখলের পর এ বার অন্য রাজ্যে সংগঠন বৃদ্ধিতে জোর দেবে দল। এই পরিস্থিতিতে ২১ জুলাইয়ের ভার্চুয়াল সভায় মুকুলের উপস্থিতি ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন দলের অনেকে। সে তিনি বক্তৃতা করুন বা না করুন। অতীতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ত্রিপুরা, মণিপুর, উত্তরপ্রদেশ, অসমের মতো রাজ্যে সংগঠন বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন মুকুল। বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থীদের জিতিয়েও এনেছেন। এমনকি, মুকুলের তত্ত্বাবধানেই ২০১২ সালে মণিপুরের বিধানসভা ভোটে সাতটি আসনে জিতে প্রধান বিরোধী দল হয়েছিল তৃণমূল।

২০২৪-এর লোকসভা ভোটে মমতা ফের মুকুলকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিতে পারেন বলে তৃণমূলের একাংশের ধারণা। যদিও মুকুলের প্রাক্তন পদের অধিকারী এখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আনুষ্ঠানিক ভাবে এখনও পর্যন্ত মুকুলের জন্য কোনও পদ ঘোষণা করা হয়েছে বলে মনে করতে পারছেন দলের শীর্ষনেতারা। তবে পাশাপাশিই তাঁরা বলছেন, তৃণমূলে পদই সব নয়। নেত্রী মমতা যখন যাঁকে যে কাজের দায়িত্ব দেওয়া প্রয়োজন, তেমনই দিয়ে থাকেন। সংশ্লিষ্ট নেতা বা কর্মীর আনুষ্ঠানিক পদ থাকুক বা না-থাকুক। প্রসঙ্গত তাঁরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, মুকুল দলে যোগ দেওয়ার দিনই মমতা বলেছিলেন, ‘‘মুকুল আগে যেমন দায়িত্ব নিয়ে কাজ করত, এখনও তেমনই দায়িত্ব নিয়ে কাজ করবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement