Kolkata Municpal Corporation

চাকরি নিয়ে পুরসভার সঙ্গে ২৭ বছরের লড়াইয়ে এল জয় 

আদালত সূত্রের খবর, তিলজলার বাসিন্দা হরেন্দ্রনাথ নায়েক (উত্তমের বাবা) কলকাতা পুরসভার ট্যাক্স কালেক্টর ছিলেন। ১৯৯৬ সালে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং পুরসভার মেডিক্যাল বোর্ড তাঁকে শারীরিক ভাবে সম্পূর্ণ অক্ষম বলে ঘোষণা করেন।

Advertisement

প্রিয়া বটব্যাল

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:০৪
Share:

কলকাতা পুরসভা। —ফাইল চিত্র।

চাকরি নিয়ে লড়াই শুরু হয়েছিল ১৯৯৭ সালে। কলকাতা পুরসভা, হাই কোর্ট পেরিয়ে দীর্ঘ ২৭ বছর পরে অবশেষে জয়ের মুখ দেখেছেন তিলজলার বাসিন্দা উত্তম নায়েক। সম্প্রতি তাঁর মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য নির্দেশ দিয়েছেন, রায় ঘোষণার আট সপ্তাহের মধ্যে উত্তমকে পুরসভার চাকরি দিতে হবে। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে এক বার হাই কোর্ট বিষয়টি বিবেচনা করতে পুরসভাকে নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু পুরসভা সেই আর্জি খারিজ করে। আদালতেও পুরসভার আইনজীবী অরিজিৎ দে উত্তমের দাবির বিপক্ষে নানা যুক্তি দেখিয়েছিলেন। তবে সেই যুক্তি টেকেনি।

Advertisement

আদালত সূত্রের খবর, তিলজলার বাসিন্দা হরেন্দ্রনাথ নায়েক (উত্তমের বাবা) কলকাতা পুরসভার ট্যাক্স কালেক্টর ছিলেন। ১৯৯৬ সালে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং পুরসভার মেডিক্যাল বোর্ড তাঁকে শারীরিক ভাবে সম্পূর্ণ অক্ষম বলে ঘোষণা করেন। তৎকালীন পুর আইন অনুযায়ী, চাকরিরত কোনও ব্যক্তি শারীরিক ভাবে সম্পূর্ণ অক্ষম হলে, তাঁর পরিবারের এক সদস্য চাকরি পেতে পারতেন। উত্তম সেই মর্মে আবেদন করেছিলেন।
তবে নিয়োগের আগেই হরেন্দ্রনাথ মারা যান। উত্তম যে চাকরি পাওয়ার যোগ্য, তা পুরসভার ডেপুটি পার্সোনেল ম্যানেজারের নেতৃত্বাধীন কমিটি পুর-কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করেছিল। যদিও অভিযোগ, চাকরি বা পেনশন কিছু না দিয়েই নায়েক পরিবারের হাতে এককালীন ৪৪ হাজার টাকা তুলে দিয়েছিল পুরসভা।

উত্তমের আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরী জানান, তাঁর মক্কেল ১৯৯৭ সালের জানুয়ারি মাসে আবেদন করেছিলেন। যোগ্য প্রার্থী হিসাবে তাঁর নামও গিয়েছিল। অথচ ২০১৪ সালে উত্তমের আবেদন খারিজের সময়ে ২০০৯ সালের আইনকে হাতিয়ার করেছিল পুরসভা। নিজের সুপারিশ কী ভাবে পুরসভা নিজেই খারিজ করল, তা নিয়ে বিচারপতি রীতিমতো উষ্মাও প্রকাশ করেছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement