আতঙ্কে দিন কাটছে গৌরী দে লেনের বাসিন্দাদের। বাড়ি ছাড়তে হবে না তো! নিজস্ব ছবি
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদন মেনে নিলেন কলকাতা মেট্রো রেলওয়ে কর্পোরেশেন (কেএমআরসিএল)। দু’এক দিনের মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার পিছু পাঁচ লক্ষ টাকা তুলে দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার প্রেস রিলিজ জারি করে এ বিষয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করা হয়েছে। এ দিন বৌবাজার এলাকায় কয়েক জন ক্ষতিগ্রস্ত নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। তাদের অভাব-অভিযোগ শুনে এ বিষয়ে গঠিত কোর কমিটিকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতেও বলেছেন তিনি।
ওই কমিটিতে রয়েছে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও। তিনি এ দিন বলেন, “সব পরিবারকেই ৫ লক্ষ করে দেবে বলেছেন কেএমসিআরএল কর্তৃপক্ষ। কোনও চিন্তার কারণ নেই আমার পাশে রয়েছি। কেমসিআরএল ‘ল্যান্ড স্টেবিলিটি সার্টিফিকেট’ না দিলে পুরসভা বাড়ি ভাঙার অনুমতি দেবে না। চেক পেতে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য পুরসভার কাউন্সিলর ‘আইডেনটিফিকেশন’ সার্টিফিকেট দেবে। ব্যাঙ্কের পাস বই ছাড়া ‘পেয়িং স্লিপ’ দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন বাসিন্দারা।”
আরও পড়ুন:নিজভূমে বাস্তুহারা বাসিন্দারা, বৌবাজার যেন বন্দি মাকড়়সার জালে
আরও পড়ুন:মেট্রোর নোটিস পেয়ে বৌবাজারের বাড়ি ছাড়লেন মন্ত্রী তাপস রায়, পথ অবরোধ নারাজ বাসিন্দাদের
প্রেস রিলিজ জারি করে এ দিন মেট্রো জানিয়েছে, এ দিন কেএমআরসিএল-এর বোর্ড অব ডিরেক্টরসরা বৈঠক করেন। তাতে সিদ্ধান্ত হয়েছে, প্রতিটি পরিবারকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। যাদের বাড়ি ভেঙে গিয়েছে, তাদের বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে। ক্ষতিগ্রস্ত বা়ড়ি সারিয়ে দেওয়া হবে। সে জন্যে বাড়ির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আপতত থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করা হবে।
মেট্রোরেলের তরফে প্রেস বিবৃতি। নিজস্ব ছবি
কেউ যদি ভাড়া নিয়ে থাকতে চান, তারও ব্যবস্থা করবে কেএমসিআরএল। এর পাশাপাশি বিপর্যয়ের মোকাবিলা করতে দেশি এবং বেশি প্রযুক্তিবিদ, সুরঙ্গ বিশেষজ্ঞ এবং ভূতত্ত্ববিদদেরও সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।