Durga Puja 2024

যাদবপুরে দুর্গাপুজোয় ‘মুখ’ সাংসদ সায়নী! ‘অনুনাদ’ থিমে তৃণমূলের যুবনেত্রীকে কেন বেছেছে পুজো কমিটি?

এ বছর কেন্দুয়া শান্তি সংঘের পুজোর মঞ্চ সাজিয়ে তোলার দায়িত্বে শিল্পী সুশান্ত পাল। মূলত তাঁর ভাবনা ‘অনুনাদ’-কে সামনে রেখেই এ বারের পুজোর মুখ করা হয়েছে সাংসদ সায়নী ঘোষকে।

Advertisement

অমিত রায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০২৪ ১৮:৫৯
Share:

এ বার কেন্দুয়া শান্তি সংঘের পুজোর মুখ হচ্ছেন তৃণমূল সাংসদ সায়নী ঘোষ। ছবি: সংগৃহীত।

যাদবপুর লোকসভা এলাকার একটি পুজোর ‘মুখ’ হিসাবে এ বার দেখা যাবে যাদবপুরের সাংসদকে। এ বার যাদবপুরের কেন্দুয়া শান্তি সংঘের পুজোর মুখ হচ্ছেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ সায়নী ঘোষ। যিনি শাসকদলের যুব সংগঠনের সভানেত্রীও বটে। বৃহস্পতিবার স্বাধীনতা দিবসের দিন পুজো কমিটির তরফে পুজোর থিম-সহ শিল্পীদের নাম এবং পুজোর মুখের নাম জানানো হয়েছে। কলকাতা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে নিজেদের পুজোর হোডিং লাগিয়েছেন তাঁরা। সেখানেই থিম ‘অনুনাদ’-এর সঙ্গে দেখা যাচ্ছে সায়নীর মুখ।

Advertisement

এ বছর কেন্দুয়া শান্তি সংঘের পুজোর মঞ্চ সাজিয়ে তোলার দায়িত্বে শিল্পী সুশান্ত পাল। মূলত তাঁর ভাবনা ‘অনুনাদ’-কে সামনে রেখেই পুজোর মুখ করা হয়েছে সায়নীকে। গত লোকসভা ভোটে যাদবপুর থেকে জিতেছেন তিনি। তবে ঘটনাপ্রবাহ বলছে, লোকসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে তাঁর নাম ঘোষণার আগেই শিল্পী সুশান্ত পুজো কমিটির উদ্যোক্তাদের কাছে সায়নীকে পুজোর মুখ হিসাবে তুলে ধরার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। শিল্পীর ভাবনাকে মান্যতা দিয়ে পুজো কমিটির প্রস্তাব যায় সায়নীর কাছে। প্রস্তাবে প্রাথমিক সম্মতি দিয়েছিলেন সায়নী। তবে রাজনৈতিক ব্যস্ততার কারণে ওই সংক্রান্ত বিষয়ে পরে কথা বলবেন বলেও জানান।

গত ১০ মার্চ তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশ থেকে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসাবে সায়নীর নাম ঘোষণা করা হয়। তার পরে প্রায় তিন মাস ভোটের কাজেই ব্যস্ত ছিলেন সায়নী। যাদবপুরে তিনি জেতেন। সাংসদ পদে শপথ নিয়ে ফেরার পর আবার পুজো কমিটির সঙ্গে আলোচনা শুরু হয় তাঁর। দু’পক্ষের সম্মতিতেই কেন্দুয়া শান্তি সংঘের পুজোর মুখ হতে সম্মতি দেন সায়নী। ইতিমধ্যে শিল্পী সুশান্তের নির্দেশনায় সায়নীর একটি ফোটোশুটও হয়েছে। যার একটি ছবি বৃহস্পতিবার প্রথম হোর্ডিংয়ে জায়গা পেয়েছে। ওই পুজো কমিটির সঙ্গে নিজের যুক্ত হওয়ার বিষয়টি আগামিদিনে তিনি নিজেই সাংবাদিক বৈঠক করে জানাবেন বলে সায়নীর ঘনিষ্ঠমহলের বক্তব্য। ঘটনাচক্রে, সায়নী যেমন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ, তেমনই এই পুজো কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত কলকাতা পুরসভায় তৃণমূলের মুখ্যসচেতক। ১০১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে দ্বিতীয় বার কাউন্সিলর হয়েছেন তিনি। শাসকদলের সাংসদ বলেই কী সায়নীকে তাঁর পুজোর মুখ করেছেন তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য? জবাবে বাপ্পাদিত্য বলছেন, ‘‘রাজনীতিতে আসার আগে থেকেই সায়নী অভিনেত্রী হিসাবে জনপ্রিয়। আমরা গত বার অভিনেত্রী অরুণিমা চক্রবর্তীকে আমাদের পুজোর মুখ করেছিলাম। সব ক্ষেত্রে শিল্পীর ভাবনাকেই আমরা মান্যতা দিয়ে এসেছি। তেমন এ ক্ষেত্রেও শিল্পীই সায়নীর নাম আমাদের কাছে প্রস্তাব করেছিলেন। তাঁর ভাবনাকে সম্মান জানিয়েই আমরা সায়নীকে পুজোর মুখ করেছি। আমাদের দু’জনেরই তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি হওয়াটা নেহাতই কাকতালীয়।’’

Advertisement

তবে শুধু বাপ্পাদিত্য বা সায়নীই নন, ঘটনাচক্রে এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে তৃণমূলের আরও এক জনপ্রতিনিধির নাম। তিনি বালিগঞ্জের বিধায়ক রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী এবং গায়ক বাবুল সুপ্রিয়। যিনি থিম ‘অনুনাদ’-কে প্রাণবন্ত করতে আবহসঙ্গীতের ব্যবহার করবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement