(বাঁ দিকে) অপর্ণা সেন। অঞ্জন দত্ত (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন অপর্ণা সেন। এমনকি সেখানে উপস্থিত একাধিক ব্যক্তি তাঁকে লক্ষ্য করে ‘চটিচাটা বুদ্ধিজীবীরা দূর হটো’স্লোগান দিতে শুরু করেন। মুহূর্তেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অপর্ণা অবশ্য তাৎক্ষণিক ভাবে এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। বিষয়টি নিয়ে এ বার মুখ খুললেন অঞ্জন দত্ত।
সমাজমাধ্যমে অঞ্জন লিখলেন, “অপর্ণা সেন, আরজি করে প্রতিবাদ করার সময় আপনি যে অসম্মানের সম্মুখীন হয়েছেন তা দেখে আমি লজ্জিত। সমাজমাধ্যমে যে সব পোস্টে আপনার বক্তব্যকে কটাক্ষ করা হয়েছে, তাতে আমাদের কয়েক জন সহকর্মীকে ‘লাইক’ করতে দেখেও আমি হতবাক।”
অপর্ণা সেনের উদ্দেশে অঞ্জন আরও লেখেন, “যখন অধিকাংশ রাজনৈতিক দলগুলির নীতি বলে আর কিছু থাকে না, তখন তারা বুদ্ধিমান এবং সংবেদনশীল ব্যক্তি, যাঁরা কোনও রাজনৈতিক দলের তোষামোদ করেন না, তাঁদের অপমান করে। আমি আমার কাজের বাইরে কখনওই কোনও বিষয়ে খুব সরব হইনি। এটা আমার স্বভাব নয়। কিন্তু আপনার (অপর্ণা সেন) আছে। আমি আপনাকে সেই জন্য কুর্নিশ জানাই। আপনি মাথা উঁচু রাখুন। এই শহরে যথেষ্ট সংবেদনশীল, বুদ্ধিমান, সৎ মানুষ রয়েছেন, যাঁরা আপনার বক্তব্যের কদর করেন। আপনার সাহস ওই মানুষগুলোর প্রয়োজন, বিশেষ করে এমন অন্ধকার সময়ে।”
একসঙ্গে বেশ কিছু কাজ করেছেন অঞ্জন ও অপর্ণা। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের আগামী ছবি ‘এই রাত তোমার আমার’-এও ফের জুটি বেঁধেছেন তাঁরা। সহ-অভিনেত্রীর জন্য অঞ্জন লেখেন, “আমি আপনাকে চিনি বলে গর্ববোধ করি। বছরের পর বছর ধরে সঠিক কারণের জন্য আপনাকে সরব হতে দেখেছি। আপনার কণ্ঠস্বর এমন অসংখ্য মহিলার কাছে গুরুত্বপূর্ণ, যাঁরা এই ব্যবস্থার জন্য ভুক্তভোগী, ভুগছেন এবং আগামীতেও ভুগবেন। আপনার কণ্ঠস্বর এমন অসংখ্য মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ, যাঁরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।”
অঞ্জন জানান, এই কথাগুলি তিনি ব্যক্তিগত ভাবেও বলতে পারতেন। কিন্তু সকলের সামনে এই বিষয়টি তুলে ধরার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন তিনি। পোস্টের শেষে তিনি লেখেন, “আমরা যে সব ছবি তৈরি করি বা কাজ করি তার সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই।”