রণক্ষেত্র বেহালা (বাঁ দিকে), ঘাতক লরি (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।
বেহালায় পথ দুর্ঘটনায় ঘাতক লরির চালককে পাকড়াও করা হল। শুক্রবার সকালে হাওড়ার জগাছার বাবলাতলায় কোনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে ওই লরিচালককে আটক করেছে হাওড়া ট্র্যাফিক পুলিশ। তাঁকে কলকাতা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার সকালে লরির ধাক্কায় স্কুলছাত্রের মৃত্যু ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধে বেহালায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ মাটিবোঝাই একটি লরি তীব্র গতিতে এসে ধাক্কা মারে প্রাথমিকের এক পড়ুয়া এবং তার বাবাকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই খুদে পড়ুয়ার। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তার বাবাকে। পরে তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দুর্ঘটনা ঘিরে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে বেহালা। ডায়মন্ড হারবার রোডে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়েরা। পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়ায় বেহালা চৌরাস্তা সংলগ্ন রাস্তায়। ওই এলাকায় অবরুদ্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। মৃতদেহ রাস্তায় ফেলে রেখে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়েরা। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের ভ্যানে। বেশ কয়েকটি সরকারি বাস ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামলাতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত লরিচালককে গ্রেফতারের দাবিতে সরব হন স্থানীয়েরা। বেহালার দুর্ঘটনায় ঘাতক লরিটিকে ধরতে তৎপর হয় পুলিশ। বিভিন্ন মোড়ে তল্লাশি চালানো হয়। সেই সময়ই ঘাতক লরির চালককে আটক করে হাওড়ার ট্র্যাফিক পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, কোনা এক্সপ্রেসওয়ে ধরে লরিটি নিয়ে পালাচ্ছিলেন ওই চালক। বাবলাতলার কাছে তাঁকে আটক করা হয়।