সম্প্রীতি উড়ালপুল। ছবি: আনন্দবাজার আর্কাইভ থেকে।
তারাতলা থেকে বজবজে যাওয়ার সম্প্রীতি উড়ালপুলে দুর্ঘটনায় এক শিশু-সহ তিন জনের মৃত্যু হল। উড়ালপুলে দু’টি বাইকের মধ্যে রেষারেষির সময়ই ঘটে দুর্ঘটনা। তাতে গুরুতর জখম হন দু’টি বাইকের চার জন আরোহী। আহতদের দ্রুত বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সেখানে তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। একজনের হাত-পা ভেঙে গিয়েছে। তিনিও এখন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার দুপুর ২ট নাগাদ। সম্প্রীতি উড়ালপুলের উপর দিয়ে দু’টি মোটরবাইকে চার জন যাচ্ছিলেন বজবজের দিকে। এর মধ্যে একটি বাইকে ছিলেন তিন জন, অন্যটিতে এক জন। উল্টোদিক থেকে আসা একটি বাসে হঠাৎই ধাক্কা লাগে তাঁদের।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, তিনজন আরোহীকে নিয়ে রামপুরের কাছে একটি বাইককে ওভারটেক করতে গিয়েই ঘটে দুর্ঘটনা। উল্টো দিক থেকে হঠাৎ চলে আসা একটি ট্যুরিস্ট বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় বাইকটির।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতেরা একই পরিবারের সদস্য। এক দম্পতি এবং তাঁদের ১০ বছরের পুত্র। নাম মহম্মদ ফিরোজ (৩৫), নাগমা খাতুন(২৮) এবং ফারদিন খান(১০)। ইকবালপুরের বাসিন্দা এই পরিবারটি বজবজে যাচ্ছিল একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। অন্যদিকে যে বাইকের সঙ্গে রেষারেষি করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে তার আরোহীও জখম হন। পুলিশ জানিয়েছে, জখম বাইকারোহীর নাম পঙ্কজকুমার মণ্ডল। বাটানগর পোস্ট অফিসে কর্মরত পঙ্কজকে আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য বিদ্যাসাগর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই চিকিৎসা করা হচ্ছে তাঁর।
দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এই উড়ালপুলে সাধারণত বাস ওঠে না। নিয়ম নেই বাইক ওঠারও। সেক্ষেত্রে দু’টি ক্ষেত্রে আইনও ভাঙা হয়েছে বলে দাবি করেছেন এলাকার মানুষ। ঘটনাটির তদন্ত করছে মহেশতলা থানার পুলিশ