আহত: হাসপাতালে সোমনাথ দলুই। নিজস্ব চিত্র।
শহরের দু’প্রান্তের দুই উড়ালপুলে চিনা মাঞ্জায় জখম হলেন দু’জন মোটরবাইক চালক। প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে মহেশতলা থানা এলাকার সম্প্রীতি উড়ালপুলে, অন্যটি ইএম বাইপাসের মা উড়ালপুলে। এক বাইকচালক জখম হলেও অন্য জনের তেমন আঘাত লাগেনি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ শহরতলির পূজালির বাসিন্দা সোমনাথ দলুই (২৮) এ দিন দুপুর তিনটে নাগাদ বাইক নিয়ে সম্প্রীতি উড়ালপুল ধরে কলকাতার দিকে আসছিলেন। সেই সময়ে কয়েক জন যুবক স্থানীয় জলকলের কাছে ঘুড়ি ওড়াচ্ছিলেন। অভিযোগ, সেই ঘুড়ির চিনা মাঞ্জা সুতোর আঘাতে সোমনাথের কপাল এবং নাকের খানিকটা অংশ কেটে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় উড়ালপুলের উপরেই বাইক নিয়ে পড়ে যান ওই যুবক। সেই সময়ে তারাতলা থেকে বজবজের দিকে বাইক নিয়ে যাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। তিনিই সোমনাথকে উদ্ধার করে বজবজ ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর কপাল ও নাকে কয়েকটি সেলাই পড়ে।
মাঝেমধ্যেই সম্প্রীতি উড়ালপুলে এমন ছোট-বড় একাধিক দুর্ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই সমস্যার সমাধানে উড়ালপুলের উপরে গাড়ি আস্তে চালানোর জন্য মোটরবাইক চালকদের পরামর্শ দিয়েছে মহেশতলা ট্র্যাফিক গার্ডের পুলিশ। ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার আধিকারিকেরা জানান, এ দিনের ঘটনার পরে আশপাশের এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। সচেতন করা হয়েছে সেখানকার বাসিন্দাদের। বজবজ ইএসআই হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সোমনাথের শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল।
অন্য দিকে, এ দিনই বিকেলে মা উড়ালপুল এবং এ জে সি বসু উড়ালপুলের সংযোগস্থলে চিনা মাঞ্জায় আহত হন সম্রাট মুখোপাধ্যায় (২৭) নামে এক বাইকচালক। তাঁর বাড়ি হাওড়ার ষষ্ঠীতলায়। চিনা মাঞ্জা সুতোয় সম্রাটের গলায় অল্প আঘাত লাগে। তবে হেলমেট পরে থাকায় বড় কোনও অঘটন ঘটেনি। পুলিশের দাবি, আঘাত গুরুতর না হওয়ায় ঘটনার কিছু ক্ষণ পরে সম্রাট গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেন।