Arrest

ফ্ল্যাটে ঢুকে বৃদ্ধাকে মারধর ও গয়না লুট, ধৃত যুবক

অভিযোগ, বৃদ্ধাকে মারধর করে কয়েক ভরি সোনার গয়নাও লুট করে এক যুবক। বৃদ্ধার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে চারু মার্কেট থানার পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:১৪
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

এক বৃদ্ধার বাড়িতে ঢুকে হামলার অভিযোগে গ্রেফতার হল এক যুবক। আরও অভিযোগ, ওই বৃদ্ধাকে মারধর করে কয়েক ভরি সোনার গয়নাও সে লুট করেছিল। বৃদ্ধার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে চারু মার্কেট থানার পুলিশ। একা থাকা ওই বৃদ্ধার ঘরে ঢুকে এ ভাবে লুটের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম শেখ বাবলু। শনিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে চারু মার্কেট থানার কে পি রায় লেনে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি বহুতল আবাসনের ফ্ল্যাটে একাই থাকেন বছর সত্তরের বৃদ্ধা মিতা সাহা। পাশের একটি ফ্ল্যাটে থাকেন তাঁর ছেলে। বৃদ্ধার অভিযোগ, শনিবার বিকেলে ঘুমোচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎ বেল বাজার আওয়াজ পেয়ে বাইরে আসেন। সেখানে এক যুবক দাঁড়িয়ে ছিল। বৃদ্ধার অভিযোগ, নিজেকে সে তাঁর ছেলের গাড়ির চালক বলে পরিচয় দেয়। মিতা বলেন, ‘‘প্রথমে জল খেতে চায় ছেলেটি। জল আনার জন্য আমি ঘরের ভিতরে ঢুকতেই ও পিছন পিছন ভিতরে ঢুকে পড়ে। তার পরে হঠাৎই দরজা বন্ধ করে দেয়। সন্দেহ হওয়ায় আমি চিৎকার করতেই মারধর শুরু করে। এর পরে একে একে গায়ের সব সোনার গয়না হাতিয়ে নেয়।’’ লিখিত অভিযোগে বৃদ্ধার দাবি, তাঁকে খুনের পরিকল্পনা ছিল অভিযুক্তের। কিন্তু চিৎকার শুনে লোকজন চলে এলে অভিযুক্ত চম্পট দেয়। প্রায় দশ ভরি গয়না লুট হয়েছে বলে বৃদ্ধার দাবি।

বৃদ্ধার প্রতিবেশী এক মহিলা বলেন, ‘‘বিকেলের দিকে হঠাৎ চিৎকার শুনে বাইরে আসি। ওই ফ্ল্যাটের ভিতর থেকে ধস্তাধস্তির আওয়াজ পাচ্ছিলাম। ডাকাডাকি করতেই ভিতর থেকে এক জন বলে, বৃদ্ধা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সন্দেহ হওয়ায় আমি চিৎকার করে পুলিশ ডাকার কথা বলি। এর পরেই হঠাৎ এক যুবক দরজা খুলে পালিয়ে যায়।’’ প্রতিবেশীরাই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা হয়। সন্ধ্যায় বৃদ্ধা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে রাতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, বেশ কয়েক মাস ধরে বৃদ্ধার ছেলে অসুস্থ। অভিযুক্ত যুবক কয়েক দিন বৃদ্ধার ছেলেকে গাড়ি চালিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল। এই ঘটনায় তার সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement