নিজস্ব চিত্র
বন্ধুর জন্মদিনে গল্ফগ্রিনের ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন সোনারপুরের বাসিন্দা রিক্তেশ মোদক (১৯)। সারারাত ধরে পার্টিও চলেছিল সেই ফ্ল্যাটে। কিন্তু পরের দিন সকালেই গল্ফগ্রিনের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় রিক্তেশের মৃতদেহ। খবর পাওয়া গিয়েছে, নিথর অবস্থার উদ্ধার হওয়ার পর তাঁকে বাঘাযতীন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃত রিক্তেশের পরিবারের অভিযোগ, ছেলেকে খুন করা হয়েছে। তাতে জড়িত রয়েছে বন্ধু কৌশিক মণ্ডল। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, মৃতের পাকস্থলিতে অতিরিক্ত মাত্রায় অ্যালকোহল পাওয়া গিয়েছে। অতিরিক্ত মদ্যপানের জেরেই মৃত্যু বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে।
সোনারপুরের সুভাষগ্রামের বাসিন্দা রিক্তেশ গত ১৬ জুলাই গল্ফগ্রিনে বন্ধু কৌশিকের জন্মদিনে যান। রাতে সেখানেই খাওয়া দাওয়া করেন। ‘পার্টি’ ছিল বলে জানান বাড়িতে। সে রাতে কৌশিকের বাড়িতেই থেকে গিয়েছিলেন। রিক্তেশের পরিবার সূত্রে খবর, সকালে বারবার ডেকেও সাড়া না পেয়ে কৌশিক তাঁর মাকে ডাকেন। তারপরে সাড়া না পাওয়ায় রিক্তেশকে নিয়ে যাওয়া হয় বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখানেই রিক্তেশকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
এরপর কৌশিকের বাড়ির লোকেরা রিক্তেশের বাড়িতে পুরো ঘটনা জানান। রিক্তেশের মা ও দাদা হাসপাতালে গিয়ে তাঁর দেহ নিয়ে আসেন। তাঁরা মৃত্যুর জন্য বন্ধু কৌশিককেই দায়ি করেছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, রিক্তেশের শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। তাঁর নাক দিয়ে রক্ত পড়ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। কৌশিকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ও অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে।