পথ দুর্ঘটনায় এক যুবকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল বন্দর এলাকার রিমাউন্ট রোডে। অবরোধ করা হল রাস্তা। পরে অবশ্য পুলিশি হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠে যায়।
পুলিশ জানায়, রবিবার রাতে বন্ধুর সঙ্গে মোটরবাইকে চেপে বাড়ি ফেরার পথে রিমাউন্ট রোডে লরির ধাক্কায় গুরুতর আহত হন এক যুবক। সাদাফ সৈয়দ নামে বছর কুড়ির ওই যুবক একবালপুরের বাসিন্দা। জখম অবস্থায় তাঁকে একবালপুরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনায় জখম হন মোটরবাইক চালকও। তবে তাঁর আঘাত গুরুতর নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানায়, ওই রাতে সাদাফ এবং তাঁর তিন বন্ধু রিমাউন্ট রোডের একটি জায়গায় দেখা করেন। সেখানে তাঁরা রাতে খাওয়া-দাওয়া করেন বলে জেনেছে পুলিশ। খাওয়া শেষে সাদাফ অন্য এক বন্ধুর মোটরসাইকেলে চেপে বাড়ির দিকে রওনা দেয়। পথে একটি লরির ধাক্কায় তাঁর মৃত্যু হয় বলে দাবি পুলিশের। লরিটিকে অবশ্য ধরতে পারেনি পুলিশ। তবে পুলিশের দাবি, মোটরবাইক চালক সাদাফের বন্ধু গোটা ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন।
সাদাফের পরিবারের সদস্যেরা অবশ্য তা মানতে নারাজ। তাঁদের বক্তব্য, সাদাফের বন্ধুদের কথায় প্রচুর অসঙ্গতি রয়েছে। পুলিশ সঠিক ভাবে তদন্ত করছে না। সোমবার সকালে সাদাফের পরিবারের সদস্যেরা দক্ষিণ বন্দর থানায় গিয়ে সাদাফের মৃত্যুর জন্য তাঁর বন্ধুদের দায়ী করে খুনের অভিযোগ দায়ের করতে চান। পরিজনেদের অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের দাবিকে প্রথমে আমল দেননি এবং অভিযোগ মানতে চাননি। পুলিশ সূত্রে খবর, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে সঠিক তদন্ত এবং দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে সাদাফের পরিবারের সদস্যেরা ও এলাকার বাসিন্দারা এ দিন রিমাউন্ট রোড অবরোধ করেন। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে চলে অবরোধ। পরে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের দাবি মেনে নিলে অবরোধ ওঠে। পুলিশ সূত্রে খবর, সাদাফের দাদা সৈয়দ ইকবাল দক্ষিণ বন্দর থানায় দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, রবিবার রাতে সাদাফকে দুই বন্ধু বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। তার পরেই দুর্ঘটনায় সাদাফের মৃত্যুর খবর মেলে। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, সাদাফের দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। তাঁদের সন্দেহ, খুন করা হয়েছে সাদাফকে। অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে অবশ্য পুলিশ দাবি করেছে, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, সাদাফের মৃত্যু হয়েছে লরির ধাক্কায়।
অন্য দিকে, সোমবার সকালে ফুলবাগান থানার কাঁকুড়গাছি রেল সেতুর কাছে একটি সরকারি বাসের সঙ্গে একটি গাড়ির সংঘর্ষ হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গুরুতর আহত অবস্থায় গাড়ির চালক একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। এ দিকে, রবিবার রাত ১১টা নাগাদ কসবা থানার রাসবিহারী কানেক্টরে একটি তেলের ট্যাঙ্কার ও গাড়ির সংঘর্ষে মৃত্যু হয় গাড়িচালক গৌতম দাসের (৪৫)। পুলিশ জানায়, আহত অবস্থায় গাড়ির আরও দুই যাত্রী হাসপাতালে ভর্তি। ওই রাতেই হেস্টিংস থানার আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু রোড ফ্লাইওভারে এক্সাইড মোড়ের কাছে একটি ট্যাঙ্কারের সঙ্গে মোটরবাইকের ধাক্কায় দুই যুবক এবং এক তরুণী গুরুতর আহত হন। অভিযোগ, মোটরবাইকটি লেন ভেঙে ট্যাঙ্কারের সামনে চলে আসে।