যারা মিষ্টি খেতে ভালবাসেন তাদের যখনই মিষ্টি দেওয়া হোক না কেন, তা তাঁরা না করতে পারেন না।
রাতে শুতে যাওয়ার আগেও তারা অনেকেই মিষ্টি খেয়ে ঘুমোতে যান। এ এক এমন অভ্যাস যে যেদিন মিষ্টি থাকে না সেদিন মনে হয় কিছু একটা অসম্পূর্ণ রয়ে গিয়েছে।
জানেন কি এইরকমই রাতে মিষ্টি খেয়ে শয়নে যাওয়ার অভ্যাস রয়েছে কালীঘাটের মা কালীরও?
একটি বিশেষ দোকান থেকে এই মিষ্টি যায় মায়ের কাছে। না, কোন নামিদামি বিখ্যাত দোকান নয়।
কালীঘাট মন্দিরের ঠিক পিছনেই রয়েছে সাইনবোর্ড ছাড়া এই দোকান। দোকানের অন্দরসজ্জাও খুব সাধারণ। মালিকের নামেই দোকানের নাম।
হারান মাঝির দোকান নামেই পরিচিত এই ছোট্ট দোকানটি। ছোট ও বড় সাইজের রসগোল্লা, চমচম, ক্ষীরমোহন, কমলাভোগ এবং তোতাপুলি সমেত বিভিন্ন রকমের মিষ্টি মায়ের ভোগে যায়।
আবার এখান থেকেই মাকে মিষ্টি দেওয়া হয় সন্ধ্যারতির সময়। শয়নে যাওয়ার আগে এই ছোট্ট দোকানের মিষ্টিই খান মা কালী।
প্রায় ১৫০ বছরেরও বেশি পুরনো এই দোকান চলে আসছে চার পুরুষ ধরে। হাওড়ার দেউলটির বাসিন্দা হারান মাঝি এই দোকান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বর্তমানে এই দোকান চালাচ্ছেন বুঝাই মাঝি।
হারান মাঝির দোকানের আরও একটি বিশেষত্ব হল চ্যাপ্টা রসগোল্লা। রসগোল্লা যে ভাবে তৈরি করা হয়, সেই ভাবেই তৈরি হয় এই মিষ্টি, তবে পাকে কিছু ভিন্নতা থাকে। এই চ্যাপ্টা রসোগোল্লাই এখানে ক্ষীরমোহন নামে পরিচিত। অনেক দূর থেকেও লোকজন আসেন এই মিষ্টি কিনতে। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।