শুক্রবার যুবককে খুনের ঘটনায় তাঁর সঙ্গীকে গ্রেফতার করল বরাহনগর থানার পুলিশ। প্রতীকী ছবি।
বরাহনগরের যুবককে খুনের ঘটনায় তাঁর সঙ্গীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে সুভাষপল্লি এলাকার একটি ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছিল শ্রীমন্ত মাঝি নামে ওই যুবকের দেহ। ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা ছিল তাঁর সঙ্গী সুমন বিশ্বাস। শুক্রবার তাকে গ্রেফতার করে বরাহনগর থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, কামারহাটির সাগর দত্ত হাসপাতালে ময়না তদন্ত করা হয়েছে শ্রীমন্তের দেহের। যার প্রাথমিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করার ফলেই মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। শ্রীমন্তের বাবা সুবোধ মাঝি বৃহস্পতিবার রাতেই বর্ধমান থেকে বরাহনগরে এসে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ব্যারাকপুরের এক পুলিশকর্তা বলেন, “ধৃত যুবক জেরায় দোষ স্বীকার করেছে। তাকে আদালতে পাঠিয়ে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।” সূত্রের খবর, জেরায় সুমন দাবি করেছে, ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের (আইএসআই) ক্যান্টিনের কর্মী শ্রীমন্তের সঙ্গে তার পরিচয় হয়েছিল বছর দুয়েক আগে। ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হলেও ক্রমশ দু’জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। মাস ছয়েক আগে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নদিয়ায় রেখে বরাহনগরে এসে ঘর ভাড়া নেয় সুমন। আর দু’মাস আগে সুভাষপল্লির ভাড়া বাড়িতে এসে থাকতে শুরু করেন শ্রীমন্ত।
তদন্তকারীদের দাবি, সুমন জেরায় এ-ও দাবি করেছে, শ্রীমন্ত সমকামী ছিলেন। দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক থাকার সুবাদে নিজের সব খরচ বহনের জন্য তিনি সুমনের উপরে চাপ দিতেন। বুধবার রাতে দু’জনের কিছু অশ্লীল ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেন শ্রীমন্ত। পরে সেটা মুছে দেয় সুমন। বিষয়টি নিয়ে দু’জনের বচসা বাধে। সেই সময়ে সুমনের ফোন ভেঙে দেন শ্রীমন্ত। এর পরেই একটি দড়ির মাধ্যমে ওই যুবকের গলায় ফাঁস দিয়ে তাঁকে শ্বাসরোধ করে সে খুন করে বলে দাবি করেছে সুমন। বৃহস্পতিবার ভোরে শ্রীমন্তের মোবাইল নিয়ে চম্পট দিয়েছিল অভিযুক্ত। পুলিশ ওই ফোনটি উদ্ধার করেছে।