—প্রতীকী ছবি।
শরিকি বিবাদের জেরে বাড়িতে ঢুকে এক মহিলাকে বেধড়ক মারধর করে পাঁজরের হাড় ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল কয়েক জনের বিরুদ্ধে। ছাড় দেওয়া হয়নি মহিলার ১০ বছরের মেয়েকেও। শুধু তা-ই নয়, আক্রান্ত মহিলার আরও অভিযোগ, হাড় ভাঙা অবস্থায় তিনি থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ প্রথমে এফআইআর নিতে চায়নি। শেষে লালবাজারে পুরো ঘটনা জানানোর পরে থানা অভিযোগ নেয়। কিন্তু মহিলার দাবি, এর
পরেও পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা তো নেয়ইনি, উল্টে তারা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ক্রমাগত হুমকি দিয়ে চলেছে। সব মিলিয়ে চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে ওই পরিবারটি।
ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরপুকুর থানা এলাকায়। সেখানকার মুকুন্দ দাস পল্লিতে স্বামী ও মেয়েকে নিয়ে থাকেন জবা হালদার নামে ওই মহিলা। তিনি জানান, বাড়ির পাশের একটি গলিকে কেন্দ্র করে বিবাদের সূত্রপাত। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার রাতে জবার সঙ্গে বচসা শুরু হয় তাঁর কয়েক জন শরিক এবং স্থানীয় কিছু যুবকের। মহিলার অভিযোগ, বচসা চলাকালীন অভিযুক্তেরা কয়েক জনকে নিয়ে আচমকা বাড়িতে ঢুকে পড়ে। জবা ও তাঁর মেয়েকে মাটিতে ফেলে চলে এলোপাথাড়ি মার। দু’জনের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে অভিযুক্তেরা পালায়।
গুরুতর আহত অবস্থায় রাতেই জবাকে বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে জানান, তাঁর পাঁজরের দু’টি হাড় ভেঙেছে। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ঠাকুরপুকুর থানায় যান মহিলা। কিন্তু তাঁর অভিযোগ, পুলিশ প্রথমে এফআইআর নিতে চায়নি। এর পরে বুধবার হাড় ভাঙা অবস্থাতেই লালবাজারের দ্বারস্থ হন অভিযোগকারিণী। গোয়েন্দা বিভাগে পুরো ঘটনা জানানোর পরে লিখিত অভিযোগ নেয় ঠাকুরপুকুর থানা। জবার দাবি, তার পরেও হুমকি দেওয়া বন্ধ হয়নি। তিনি বলেন, ‘‘থানায় কেন অভিযোগ জানিয়েছি, সেটা নিয়ে লাগাতার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দুপুরেও দেখে নেওয়া হবে বলে শাসানি দিয়ে গিয়েছে ওরা।’’
মহিলার অভিযোগ, অভিযুক্তদের যে হেতু রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে, সেই জন্য পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এই ঘটনা প্রসঙ্গে ১২৪ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি রাজীবকুমার দাস বলেন, ‘‘উনি আমাদের কাছে এসেছিলেন। আমরা ওঁকে থানায় যেতে বলি। তার পরে কী হয়েছে, আমার জানা নেই।’’ পুলিশ সূত্রের খবর, দু’টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এক তদন্তকারী আধিকারিক শুধু বলেন, ‘‘কী নিয়ে বিবাদ, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার রাতে কী হয়েছিল, তা-ও জানার চেষ্টা চলছে।’’