Death

মুচিপাড়ায় ছাদের ভাড়া ঘরে পুড়ে মৃত্যু প্রৌঢ়ার, সন্দেহ আত্মহত্যা

মৃতার নাম স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায় (৫৫)। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন ওই প্রৌঢ়া। তবে কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:১০
Share:

স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায় —ফাইল চিত্র।

বাড়ির মধ্যেই আগুনে পুড়ে মৃত্যু হল এক মহিলার। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে মুচিপাড়া থানার ক্রিক লেনে। মৃতার নাম স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায় (৫৫)। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন ওই প্রৌঢ়া। তবে কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বামী শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ছেলে সাত্ত্বিক
বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ক্রিক লেনের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন স্বাতী। দোতলার ছাদে দু’টি ঘর নিয়ে থাকতেন তাঁরা। স্বাতী কাজ করতেন একটি সংস্থার ‘সেলস’ বিভাগে। তাঁর স্বামী ও ছেলেও চাকরি করেন। এ দিন ঘটনার সময়ে তাঁরা কেউই বাড়িতে ছিলেন না। শান্তনু তাঁর বিবাহিত দিদি প্রণতিকে ডায়ালিসিস করাতে নিয়ে গিয়েছিলেন। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, এ দিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ স্বাতীদের ঘর থেকে আগুন আর ধোঁয়া বেরোতে দেখে তাঁরা পুলিশে খবর দেন। খবর যায় দমকলেও। দু’টি ইঞ্জিন পৌঁছে কিছু ক্ষণের মধ্যে আগুন নেভায়। আগুন নেভার পরে ঘর থেকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার হয় স্বাতীর দেহ। একটি ঘরে বিছানার উপরে পড়ে ছিলেন তিনি। তাঁকে উদ্ধার করে এন আর এস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

প্রাথমিক ভাবে এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলে মনে করলেও তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখছেন
তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, স্বাতীর ছেলে প্রায়ই মদ খেয়ে বাড়ি ফিরে অশান্তি করতেন। এ ভাবে আগুনে পুড়ে প্রৌঢ়ার মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না পড়শিরা। ওই বাড়ির দোতলায় ভাড়া থাকেন ভাস্কর মৈত্র। তিনি বলেন, ‘‘আমি প্রথমে কিছুই বুঝতে পারিনি। দুপুরে পাড়ার লোকজন এসে আমাকে বলেন, উপরে আগুন লেগেছে। ধোঁয়ায় চার দিক ঢেকে গিয়েছে। আমরা সকলে ছুটে উপরে যাই। দরজা ভেঙে দেখি, ঘরে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। আগুন নেভার পরে দেখা যায়, শোয়ার ঘরের খাটে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছেন স্বাতী।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement