কলকাতা বিমানবন্দর।—ফাইল চিত্র।
দিল্লি যাওয়ার পথে গত শুক্রবার কলকাতা বিমানবন্দরে যে ভাবে দেহ তল্লাশি করা হয়েছিল, তাতে আপত্তি করেছিলেন রূপান্তরকামী যাত্রী অচিন্ত্য প্রান্তর। তা নিয়ে এ বার কলকাতা বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ-এর কাছে সরকারি ভাবে অভিযোগ জানালেন তিনি। রূপান্তরকামী যাত্রীর দেহ তল্লাশির ক্ষেত্রে ‘গাইডলাইন’ রয়েছে কি না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন অচিন্ত্য। তিনি জানিয়েছেন, বিমানবন্দরে তল্লাশির ক্ষেত্রে রূপান্তরকামীদের পছন্দকে অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবিতে প্রয়োজনে বিমান মন্ত্রকের দ্বারস্থও হবেন তিনি।
অচিন্ত্যের দাবি, ঘটনার সময়ে দেহ তল্লাশির সময়ে তিনি আড়াল চেয়েছিলেন। বছর ছাব্বিশের অচিন্ত্য বলছেন, ‘‘পুরুষদের লাইনে সর্বসমক্ষে দেহ তল্লাশি করা হয়েছে। আমায় ওড়না খুলে রাখতে বলা হয়। ভয়ঙ্কর অপমানিত হয়েছি। একটু আড়াল হলে ভাল হত।’’ তাঁর অভিযোগ, তাঁকে রূপান্তরকামী সংক্রান্ত প্রমাণপত্রও দেখাতে বলা হয়।
সিআইএসএফ জানিয়েছে, পর্দা ঘেরা জায়গায় মহিলা যাত্রীদের তল্লাশির ব্যবস্থা থাকলেও রূপান্তরকমীদের ক্ষেত্রে সে রকম ব্যবস্থা নেই। এক কর্তার কথায়, ‘‘বুরো অব সিভিল এভিয়েশন সিকিওরিটি-র (বিসিএএস) গাইডলাইন অনুযায়ী, কোনও যাত্রী দেহে কিছু লুকিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন মনে হলে আলাদা নিয়ে গিয়ে তল্লাশি করা হয়। পায়ুতে সোনা পাচার করতে গিয়ে এ ভাবে অনেকে ধরা পড়েন। কিন্তু রূপান্তরকামীদের জন্য তেমন কোনও নির্দেশ নেই।’’ আধিকারিকদের পাল্টা যুক্তি, কোনও রূপান্তরকামীর দেহ তল্লাশি করতে কোনও মহিলা নিরাপত্তারক্ষীরও আপত্তি থাকতে পারে।
তবে দিল্লি বিমানবন্দরের এক কর্তা বলছেন, ‘‘পুরুষ যাত্রীদের দেহ তল্লাশির জায়গায় কোনও অস্থায়ী ঘেরাটোপ রাখা যায়। কেউ চাইলে সেখানে তাঁর দেহ তল্লাশি করা হবে। এতে নিরাপত্তারক্ষীদেরও আপত্তি করার কথা নয়।’’