যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।
সব কিছু ঠিক ভাবে চললে সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে চলেছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন’ (ইসরো)-এর একটি দল। গত ৯ অগস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের।র্যাগিংয়ের জেরে ছাত্রটির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। যাদবপুরের ঘটনা নিয়ে সরগরম হয় রাজ্য রাজনীতি। র্যাগিং মোকাবিলায় ইসরোর প্রযুক্তি ব্যবহার করার জন্য সংস্থার চেয়ারম্যান এস সোমনাথের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
রাজভবন সূত্রে খবর, চলতি মাসের শেষের দিকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার কথা ছিল ইসরোর প্রতিনিধি দলের। কিন্তু অনিবার্য কারণে তা পিছিয়ে যায়। শুক্রবার দুপুর ১২টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসছেন। বৈঠকে যোগ দেবেন ছাত্র, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী-সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ অংশীদারেরা। এর আগে বেশ কয়েকটি ছাত্র সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে বলেছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশীদার (স্টেকহোল্ডার) হওয়া সত্ত্বেও তাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। শুক্রবারের বৈঠকেও ইসরো প্রসঙ্গ উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, সেপ্টেম্বর মাসের ১ থেকে ৭ তারিখের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছেন ইসরোর প্রতিনিধিরা।
র্যাগিং মোকাবিলায় ইসরোর সাহায্য চেয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন রাজ্যপাল— গত ২৪ অগস্ট রাতে একটি বিবৃতি দিয়ে এই কথা জানানো হয়েছিল রাজভবনের তরফে। রাজভবনের বিবৃতিতে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে র্যাগিং রুখতে উপযুক্ত প্রযুক্তিকে যাতে কাজে লাগানো যায়, তা নিয়ে ইসরোর চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন রাজ্যপাল বোস। এই নিয়ে হায়দরাবাদে অ্যাডভান্সড ডেটা প্রসেসিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এডিআরআইএন)-এর সঙ্গেও আলোচনা করেছেন তিনি। এই বিষয়টি ফলপ্রসূ করতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে। গত ২৫ অগস্টও মালদহ যাওয়ার পথে ট্রেনে বসেই ইসরো প্রধানের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। তৃতীয় চন্দ্রযানের সাফল্যের পর এ বার র্যাগিং রুখতে যাদবপুরে আসতে চলেছে ইসরোর দল।