—প্রতীকী চিত্র।
বৃদ্ধ বাবাকে খুনের ঘটনায় মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ছেলেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। কড়েয়া থানার কাশিয়াবাগানের রাধাগোবিন্দ সাহা লেনের একটি বহুতলে বুধবার এই ঘটনা ঘটেছে। এ দিন সকাল পৌনে ৯টা নাগাদ ওই বহুতলের দোতলার ফ্ল্যাটে রক্তাক্ত ও অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় গৃহকর্তাকে। পুলিশ গিয়ে দেহ হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। বৃদ্ধের নাম আবদুল খালেক নেহাল (৬৯)। ধৃত ছেলের নাম তারিক নেহাল। নিহতের মাথায় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সকালে দেখা যায়, তারিক খালি পায়ে ছুটে ওই বহুতল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। তারিকদের ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখা যায়, ভিতরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ওই বৃদ্ধ। খবর ছড়িয়ে পড়তেই তারিককে গ্রেফতারের দাবিতে শুরু হয় বিক্ষোভ। পরিবারের কেউ এই ঘটনা সম্পর্কে কিছু বলতে চাননি। নেহাল পরিবার ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ওই বহুতলে রয়েছে। পেশায় ব্যবসায়ী আবদুলের তিন মেয়ে ও এক ছেলে।
পুলিশ জেনেছে, ৪৩ বছরের তারিকও পারিবারিক ব্যবসায় যুক্ত। ২০১২ সালে বিয়ে হয় তার। তিন বছর পরে বিবাহ-বিচ্ছেদ। ওই দম্পতির এক সন্তান রয়েছে। তারিকের প্রাক্তন স্ত্রী আবার বিয়ে করেন। সম্প্রতি তারিক ফের সেই মহিলার সঙ্গে থাকার ইচ্ছে প্রকাশ করে। তা নিয়েই বাবা-মায়ের সঙ্গে অশান্তি বাধে।
তদন্তে পুলিশ জেনেছে, এ দিন সকালে শৌচাগার থেকে বেরিয়ে প্রাতরাশ সারতে যাচ্ছিলেন বৃদ্ধ। সে সময়ে পিছন থেকে তাঁর মাথায় দরজার খিল দিয়ে আঘাত করে তারিক। ঘটনার পরে লালবাজারের হোমিসাইড শাখার তদন্তকারীরা ওই আবাসনে যান। সাময়িক উত্তেজনার বশে, না কি পরিকল্পনা করে বৃদ্ধকে খুন করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ব্যক্তিগত সম্পর্কজনিত টানাপড়েন ছাড়া ঘটনার নেপথ্যে আর কিছু রয়েছে কি না, তা-ও যাচাই করা হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ।