অঘটন: এক ব্যক্তিকে ধাক্কা মারার পরে কাঠের স্তূপে ধাক্কা দেয় গাড়িটি। শুক্রবার সকালে, অম্বিকানগরে। নিজস্ব চিত্র
বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন এক যুবক। সঙ্গে ছিলেন আরও দু’জন। সেই গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর জখম হলেন এক প্রাতর্ভ্রমণকারী। আব্দুল মণ্ডল (৫০) নামে ওই ব্যক্তিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আর জি কর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গা থানার বারাসত-টাকি রোডের অম্বিকানগরে। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে গাড়ির দুই আরোহীকে। তবে চালক পলাতক।
স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, রাস্তার ধার দিয়ে হাঁটছিলেন আব্দুল। হঠাৎই গাড়িটি তীব্র গতিতে এসে তাঁকে ধাক্কা মারে। মৃন্ময় বসু নামে এক বাসিন্দা জানান, গাড়ির গতি এতটাই ছিল যে ধাক্কার অভিঘাতে সেটির উইন্ডস্ক্রিন ভেঙে যায়। দুমড়ে যায় বনেট। ওই প্রৌঢ়কে ধাক্কা মারার পরে গাড়িটি একটি কাঠের স্তূপে ধাক্কা মেরে দাঁড়িয়ে পড়ে। রক্তাক্ত আব্দুলকে প্রথমে বারাসত হাসপাতাল, পরে আর জি করে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, তাঁর মাথা ফেটে গিয়েছে। ভেঙে গিয়েছে কলার বোন।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পরেই পালান গাড়িচালক সৌরভ নস্কর। দুই আরোহী রোহন রায় ও তুষার খানকে আটকে রাখেন স্থানীয়েরা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে গাড়িটি থেকে শ্রীলঙ্কা, ইতালি ও অস্ট্রেলিয়ার প্রচুর মুদ্রা উদ্ধার করে। রোহন ও তুষারকে জেরা করে জানা গিয়েছে, তাঁদের বাড়ি রাজারহাটের দশদ্রোণে। কেন তাঁরা দেগঙ্গায় এসেছিলেন, এত দেশের মুদ্রা তাঁরা কোথা থেকে পেলেন— তার সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। এর পরেই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।