যাঁর বাড়ি ভাঙচুর হয়, সেই তৃণমূল কর্মীর নাম অভিজিৎ প্রামাণিক। প্রতীকী ছবি।
কলকাতায় যৌনপল্লিতে গিয়েছেন তৃণমূলের এক স্থানীয় নেতা। মাসখানেক আগেশাসনের সর্দারহাটিতে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিয়ো ক্লিপিংয়ে তেমনটাই দেখা গিয়েছিল (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার)। বারাসত ২ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ রণজিৎ মণ্ডলের সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ারপরেই এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর চলে। অভিযোগের আঙুল ওঠে রণজিৎ ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। যাঁর বাড়ি ভাঙচুর হয়, সেই তৃণমূল কর্মীর নাম অভিজিৎ প্রামাণিক। রবিবার রাতে বাড়িতে ফের ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন তিনি। এ বারও তিনি অভিযোগ করেছেন রণজিৎ ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধেই। এমনকি, তাঁর বাড়িতে রণজিৎ তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন বলেও অভিজিতের অভিযোগ। তিনি জানান, শাসন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও পুলিশের দাবি, রবিবারের ঘটনায়অভিজিৎ কোনও অভিযোগ করেননি।
মাসখানেক আগে ভাঙচুরের পরে অভিজিতের অভিযোগের ভিত্তিতে রণজিৎ গ্রেফতার হয়েছিলেন। তার পরে অবশ্য তিনি জামিনে ছিলেন বলেই দাবি শাসন থানার পুলিশের। অভিজিৎ এ দিন জানান, মাসখানেক আগে ওই ঘটনার পরে তিনি বেশ কিছু দিন বাড়ির বাইরে ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘‘রবিবার বাবা-মা বাড়িতে ছিলেন না। সেই সুযোগে বাড়িতে ঢুকে রণজিতের লোকজন ভাঙচুর চালান। এমনকি, আমার বাড়িতেতালা ঝুলিয়ে দেওয়ার পর্যন্ত চেষ্টা হয়। রণজিৎ যৌনপল্লিতে গিয়েছিলেন বলে যে ভিডিয়ো ঘুরছিল, সেটি কারা ছড়িয়ে দিয়েছে আমি জানিনা। কিন্তু বার বারআমার উপরে আক্রমণ হচ্ছে। আমি দলকে সব জানিয়েছি।’’
বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য রণজিৎকে ফোন এবংমেসেজ— দুই-ই করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি কোনও সাড়া দেননি।