Hospital Man

রোগীর পাশে ভ্রাম্যমাণ রান্নাঘর নিয়ে হাজির ‘হসপিটাল ম্যান’ 

স্বপ্নের বাস্তবায়নে একটি ছোট পণ্যবাহী গাড়িকে পূর্ণাঙ্গ রান্নাঘর-সহ ফুড ভ্যানে বদলেছেন পার্থ। খরচ পড়েছে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:০০
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

২০১৬ সালে সূচনা হয়েছিল কর্মকাণ্ডের। সরকারি হাসপাতালে ঘুরে ঘুরে বিনামূল্যে তিনি রান্না করা খাবার বিতরণ করতেন রোগী বা তাঁর পরিজনদের। প্রেসক্রিপশন বা কার্ড দেখালেই খাবার মিলত। সেই কাজে অনেক বাধাও এসেছিল, তবু তিনি স্বপ্ন দেখতেন ভ্রাম্যমাণ একটি রান্নাঘরের। অবশেষে কালীঘাটের বাসিন্দা, পার্থ করচৌধুরীর সেই স্বপ্ন পূরণ হল।

Advertisement

স্বপ্নের বাস্তবায়নে একটি ছোট পণ্যবাহী গাড়িকে পূর্ণাঙ্গ রান্নাঘর-সহ ফুড ভ্যানে বদলেছেন পার্থ। খরচ পড়েছে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। যে রান্নাঘর দিনে ১৬ ঘণ্টা বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ঘুরে ঘুরে রান্না করা খাবার বিতরণ করতে পারবে। পেশায় স্কুলগাড়ির চালক পার্থ তাঁর কাজের জন্য পরিচিত ‘হসপিটাল ম্যান’ নামে। ২০১৬ সালে তিনি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। পার্থ জানান, তখন তিনি দেখেছিলেন, ভর্তি থাকা রোগীর বরাদ্দের খাবার ভাগ করে খাচ্ছেন তাঁর পরিজনেরা। সুস্থ হয়ে উঠে তাই তাঁদের জন্য ঠোঙায় চিঁড়ে-মুড়ি, গুড়, কলা ভরে রাতে হাজরার চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতালে চলে যেতেন পার্থ। ধীরে ধীরে এসএসকেএম, শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালেও যাতায়াত শুরু করেন।

কয়েকটি খাবারের দোকানের সঙ্গে কথা বলে তাদের উদ্বৃত্ত খাবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত পার্থ সংগ্রহ করতেন। সে সব পৌঁছে দিতেন চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতালে। লকডাউন-পর্বে ওই খাবারের দোকানগুলি বন্ধ হলে শুকনো খাবার বিতরণ করা শুরু করেন তিনি।

Advertisement

কোভিডের সময়ে পার্থের সঙ্গী হয়েছিলেন এ শহরেরই বাসিন্দা তূণীর মুখোপাধ্যায়। গত বছর তিনি একটি টোটো দান করেন খাবারের গাড়ির জন্য। পার্থের স্বপ্নের কথাশুনে তহবিল তৈরি করতেও সচেষ্ট হন। সেই তহবিলের টাকাতেই স্বপ্ন পূরণ হল। পার্থের কথায়, ‘‘এত দিন খাবার শেষ হয়ে গেলে যোগ্য মানুষকেও ফেরত পাঠাতে হত। এ বার কিছু ক্ষণ দাঁড় করিয়ে খাবার বানাতে পারব। মানুষের সংখ্যা দেখে খাবার বানানো যাবে। এই গাড়ি নিয়েও অনেকটা যাওয়া যাবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement