ধৃতের নাম ধীরেন ঘোষ। —প্রতীকী চিত্র।
ভুয়ো পাসপোর্ট কাণ্ডে আরও এক জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম ধীরেন ঘোষ। মঙ্গলবার রাতে নদিয়ার চাকদহ থানার মদনপুরের ভাড়া বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে লালবাজারের বিশেষ তদন্তকারী দল। সেখানে স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে থাকত সে। সেখান থেকে বেশ কিছু নথিও বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। এই ঘটনায় ধীরেনকে নিয়ে এখনও পর্যন্ত আট জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ভুয়ো পাসপোর্ট চক্রের মাথা মনোজ গুপ্তকে জেরা করেই ধীরেনের নাম উঠে আসে। শনিবার মনোজকে ধরা হয়েছিল। প্রায় দশ বছর ইতালিতে ছিল ধীরেন। সেখানে সে বিভিন্ন হোটেল, রেস্তরাঁয় কাজ করত। ২০১৭ সালে এ দেশে ফেরার পরে মনোজের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, ধীরেন বাংলাদেশ থেকে এ দেশে এসেছিল। গোয়েন্দাদের দাবি, ইতালিতে থাকার সময়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাতায়াত থাকায় অনেক পরিচিতি ছিল ধীরেনের। অভিযোগ, সেই সূত্রেই বেআইনি ভাবে এ দেশে ঢোকা বাংলাদেশিদের ভুয়ো পাসপোর্ট বানানোর পরে ইউরোপের নানা দেশের ভিসা পেতে সাহায্য করত সে।
এক তদন্তকারী জানান, বাংলাদেশিদের বিদেশে পাঠানোর যাবতীয় ব্যবস্থা করত ধীরেন। খতিয়ে দেখা হচ্ছে, চক্রের বাকিদের সঙ্গে তার কেমন সম্পর্ক ছিল। এ দিন আদালতে ধৃতকে তোলা হলে সরকারি আইনজীবী তুলসী দাস ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে বলেন, ‘‘ধৃত ভুয়ো পাসপোর্ট চক্রের মাথা। অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে দীর্ঘ জেরা করার প্রয়োজন রয়েছে।’’ তার ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে।
তদন্তে এক পুলিশকর্মীর মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত হয়েছে। লালবাজার জানিয়েছিল, কলকাতা পুলিশের একটি থানার দুই পুলিশকর্মী নজরে রয়েছেন। তাঁদের কাজ ছিল, পাসপোর্টের জন্য জমা নথি যাচাই করা। অভিযোগ, তাঁরা তা করেননি। এমনকি, তাঁদের হাতে একটি থানার পুলিশি যাচাইয়ের দায়িত্ব থাকলেও তাঁরা অন্য থানার নথিও যাচাই করেছেন। পাশাপাশি, এক জনের যাচাইয়ের কাজ অন্য জন বেআইনি ভাবে করেছেন বলেও জানা যাচ্ছে। এক জনের সঙ্গে কথা বলেছেন তদন্তকারীরা।