Shalimar Station

মাদুরাই নিয়ে যাওয়ার পথে শালিমার থেকে উদ্ধার ছয় কিশোর! পাচার, অপহরণের অভিযোগে গ্রেফতার দুই

অভিযোগ, তাদের শিশুশ্রমিকের কাজে লাগানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তামিলনাড়ুর মাদুরাই। এ জন্য শিশুদের পরিবারকে কিছু টাকাও দেন অভিযুক্তেরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:৫১
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

ছ’জনের বয়স ১২ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে। সকলের পরনের পোশাক মলিন। ওই কিশোরদের সঙ্গে ছিলেন দুই যুবক। ট্রেনের মধ্যে তাঁদের কথাবার্তা শুনে সন্দেহ হয় আরপিএফের। কোথা থেকে আসছেন, কোথায় যাচ্ছেন, সঙ্গে কিশোরদের সঙ্গে সম্পর্কে কী, এমন নানা প্রশ্নে বিব্রত বোধ করেন দুই যুবক। শেষমেশ আরপিএফের সক্রিয়তাতেই পাচারকারী সন্দেহে ধরা পড়ল দু’জন। উদ্ধার করা হয়েছে ছয় নাবালককে। অভিযোগ, তাদের শিশুশ্রমিকের কাজে লাগানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তামিলনাড়ুর মাদুরাই। এ জন্য শিশুদের পরিবারকে কিছু টাকাও দেন অভিযুক্তেরা। হাওড়ার শালিমার রেলস্টেশনের ঘটনা।

Advertisement

রেল সূত্রে খবর, রবিবার রাতে শালিমার স্টেশন থেকে ছয় নাবালক নিয়ে একটি ট্রেনে ওঠেন দুই ব্যক্তি। মাদুরাই নিয়ে যাওয়ার পথে আরপিএফের হাতে উদ্ধার হয়েছে ছ’জন। যে দুই ব্যক্তি নাবালকদের সঙ্গে ছিলেন, তাঁদের আটক করা হয়। পরে তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার হাওড়া আদালতে তোলা হলে অভিযুক্তদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। ধৃতদের বিরুদ্ধে অপহরণ এবং শিশু পাচারের অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, শালিমার স্টেশন থেকে উদ্ধার হওয়া কিশোরদের বাড়ি অসমে। তাদের মাদুরাই নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ধৃত নূর হোসেন এবং প্রিয় সামুই জানিয়েছিলেন নাবালকদের কাজ দেওয়ার জন্য ভিন্‌রাজ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ক্রমশ উঠে এসেছে, পরিবারগুলিকে সামান্য অর্থ দিয়ে এক রকম কিনে নেওয়া হয় কিশোরদের। রেল পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন দুই যুবক। উদ্ধার ছয় নাবালককে একটি হোমে পাঠানো হয়। তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। অপহরণ এবং শিশু পাচারের অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement