দু’টি থার্মোমিটার ভেঙে সেই পারদ সিরিঞ্জে ভরে বাঁ হাতে, পেটে ও গলায় ফুটিয়েছিলেন এক জন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া। ছবি: সংগৃহীত।
ইন্টারনেটে তিনি নাকি পড়েছিলেন, পারদ শরীরে ঢুকলেও ক্ষতি হয় না। বিষয়টি পরখ করতেই নিজের শরীরে পারদ ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন বছর উনিশের এক তরুণ। শেষে তাঁর পেট ও গলা কেটে বার করতে হল পারদ!
এক জন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার এ হেন কাণ্ডে বিস্মিত কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকেরা। নদিয়ার বাসিন্দা ওই তরুণ চণ্ডীগড়ে বি-টেক পড়ছেন। দেড় মাস আগে হস্টেলে দু’টি থার্মোমিটার ভেঙে সেই পারদ সিরিঞ্জে ভরে বাঁ হাতে, পেটে ও গলায় ফুটিয়েছিলেন তিনি। বুধবার তাঁর গলা কেটে শ্বাসনালির কাছ থেকে সেই পারদ বার করেন কলকাতা মেডিক্যালের কান-নাক-গলার চিকিৎসকেরা। অস্ত্রোপচার করা শিক্ষক-চিকিৎসক দীপ্তাংশু মুখোপাধ্যায় বলেন, “ওই পারদ ফুসফুসে গেলে নিউমোনিয়া হয়ে বড় বিপদ হতে পারত।”
দিন ১৫ আগে পেট, হাত ও গলা ফুলে যাওয়ার সঙ্গে তীব্র যন্ত্রণা শুরু হওয়ায় ওই তরুণ বাড়ি ফেরেন। পরীক্ষায় জানা যায়, পেটে ও হাতে বিষাক্ত কিছু রয়েছে। ১২ ফেব্রুয়ারি অস্ত্রোপচারে পেট থেকে পারদ বেরোয়। কিন্তু, কাটা জায়গায় পুঁজ জমতে শুরু করায় তাঁকে কলকাতা মেডিক্যালে ‘রেফার’ করা হয়। সেখানে সিটি স্ক্যানে দেখা যায়, শ্বাসনালির পাশেও পারদ। মঙ্গলবার তাঁকে ইএনটি বিভাগে স্থানান্তরিত করা হয়। এ দিন অস্ত্রোপচারে বিভাগীয় প্রধান সৌমেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, হরিশ বালসুব্রহ্মণ্যম, প্রদ্যুম্ন কুণ্ডু ও অ্যানাস্থেশিয়ার চিকিৎসক দেববহ্নি বডুয়া ছিলেন।