Calcutta High Court

যুবভারতী-বিক্ষোভে গিয়ে ‘নিখোঁজ’ ছেলে, হাই কোর্টে পরিবার, পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন, জানাল রাজ্য

পরিবারের দাবি, প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন যুবক। তাঁকে সাঁতরাগাছি থেকে আটক করে পুলিশ। তার পর ওই যুবকের খোঁজ পাওয়া যায়নি। সোমবার এই বিষয়ে দ্রুত শুনানির আর্জি জানানো হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০২৪ ১২:৫৪
Share:

যুবভারতীর সামনে জমায়েত মোহন-ইস্ট সমর্থকদের। রবিবার বিকেলে। —নিজস্ব চিত্র

ডার্বি ম্যাচ বাতিল হলেও আরজি কর-কাণ্ডের বিচার চেয়ে রবিবার বিকেলে যুবভারতীর সামনে জড়ো হয়েছিলেন মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল সমর্থকেরা। ওই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে এক যুবক বাড়ি ফেরেননি বলে দাবি করেছে তাঁর পরিবার। সোমবার এই বিষয়ে দ্রুত শুনানি চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ওই যুবকের পরিবার। সোমবার সকালেই মামলাটির শুনানি হয়। রাজ্যের তরফে আদালতে জানানো হয়, ওই যুবক পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। সোমবারই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

Advertisement

আদালতে পরিবারের তরফে দাবি করা হয়, প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন ওই যুবক। তাঁকে সাঁতরাগাছি থেকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু তার পর ওই যুবকের খোঁজ পাওয়া যায়নি। সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের কাছে দ্রুত শুনানির আর্জি জানান আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। উচ্চ আদালতের তরফে এই বিষয়ে অনুমতি দেওয়া হয়।

প্রতিবাদের ফুলকি জ্বলা শুরু হয়েছিল শনিবার দুপুর থেকেই। ডার্বি বাতিলের খবর ছড়িয়ে পড়ামাত্রই ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান সমর্থকেরা ঘোষণা করেছিলেন, ডার্বির নির্ধারিত সময়ের আগে জমায়েত করে প্রতিবাদ জানানো হবে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের প্রধান দরজার বাইরে। সেই ফুলকি দাবানল হয়ে ছড়িয়ে পড়ে রবিবার দুপুরে। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহমেডান সমর্থকদের প্রতিবাদে চার ঘণ্টার বেশি অবরুদ্ধ হয়ে থাকে বাইপাস। আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ করতে গিয়ে তিন দলের সমর্থকদের খেতে হয় পুলিশের লাঠিও। তবে তাতেও প্রতিবাদ থামেনি। পুলিশের লাঠিচার্জ সত্ত্বেও সমর্থকেরা আবার ভিড় করন যুবভারতীর সামনে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement