আগামী ৯ জানুয়ারি আলিপুরে আনুষ্ঠানিক ভাবে ভিএলটিডির ব্যবস্থার উদ্বোধন করার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ফাইল ছবি।
যাত্রী-সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে সব বাণিজ্যিক গাড়িতে ভেহিক্ল লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস (ভিএলটিডি) বাধ্যতামূলক করার কথা আগেই জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। আগামী ৯ জানুয়ারি আলিপুরে আনুষ্ঠানিক ভাবে ওই ব্যবস্থার উদ্বোধন করার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রথম ধাপে এক হাজার গাড়িকে এই ব্যবস্থার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে প্রায় সাড়ে ছ’শো গাড়ি এখনও পর্যন্ত এই ব্যবস্থার আওতায় এসেছে বলে খবর।
গত নভেম্বরের শেষে একটি নির্দেশিকা জারি করে রাজ্য জানিয়েছিল, যাত্রী পরিবহণের সঙ্গে যুক্ত সব ধরনের বাণিজ্যিক গাড়িতে আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে এই ব্যবস্থা কার্যকর করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের পরে যে সব গাড়িতে এই যন্ত্রবসানো হবে না, তাদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত শংসাপত্র (ফিটনেস সার্টিফিকেট) দেওয়া হবে না। উপরন্তু, প্রতিদিন বিলম্বের জন্য ৫০ টাকা করে জরিমানা ধার্য হবে।
কী ভাবে কাজ করবে এই ব্যবস্থা? জানা গিয়েছে, জিপিএস প্রযুক্তি নির্ভর এই যন্ত্রের মাধ্যমে গাড়ির প্রতিমুহূর্তের অবস্থান এবং গতিবেগ জানা সম্ভব। এই ব্যবস্থার আওতায় প্রতিটি গাড়িতে প্যানিক বাটনবসানো বাধ্যতামূলক। প্রাথমিক ভাবে সব যাত্রিবাহী বাস, মিনিবাস, হলুদ ট্যাক্সি, অ্যাপ-ক্যাব, স্কুলগাড়ি-সহ বিভিন্ন ভাড়ার গাড়িতে এই যন্ত্রবসানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। গাড়িতে সফরের সময়ে কোনও যাত্রী বিপদে পড়লে তিনি নিজেই প্যানিক বাটন টিপে সরাসরি কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে স্থানীয় থানায় বার্তা দিতে পারবেন। পথে কোনওদুর্ঘটনা ঘটলে যন্ত্র স্বয়ংক্রিয় ভাবে মাত্র আট সেকেন্ডের মধ্যে কন্ট্রোল রুমে বার্তা পাঠাবে। সেখান থেকে খবর পৌঁছবে স্থানীয় থানায়। এরজন্য কলকাতায় পোদ্দার কোর্টে আধুনিক কন্ট্রোল রুম তৈরি করা হয়েছে। আরও দু’টি কন্ট্রোল রুম তৈরি হওয়ার কথা শিলিগুড়ি এবং আসানসোলে।
তবে, প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ করে তড়িঘড়ি এই যন্ত্র বসানোর বিষয়ে তাদের আপত্তির কথা জানিয়েছে বেসরকারি বাস, মিনিবাস, হলুদ ট্যাক্সি এবং অ্যাপ-ক্যাব সংগঠনগুলি। নির্দিষ্ট মেয়াদের পরে গাড়ির স্বাস্থ্য সংক্রান্ত শংসাপত্র নেওয়ার সময়ে ওই যন্ত্র বসিয়ে নেওয়ার বিষয়ে মত দিয়েছে তারা। যদিও পরিবহণ দফতর এখনও ওই প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি।